আমাদের বাসভূমি পৃথিবীর বয়স কত? জানুন বিস্তারিত
আমরা পৃথিবীতে বাস করি। পৃথিবী নিয়ে পড়াশোনা করেন অথচ “পৃথিবীর বয়স কত?” এই প্রশ্নটি মাথায় আসেনি এমনটা হতেই পারেনা । বর্তমানে এই বিজ্ঞানের যুগে আমরা পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে বেশ নির্ভরযোগ্য অনেক ধারণা পেয়েছি। তবে এই বয়স কিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে? পৃথিবীর বয়স কত? পৃথিবীর বয়স কত? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে কি কি কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে মানুষকে? এই সবকিছুই আমরা জানবো জ্ঞানী বাবা!’র আজকের এই আর্টিকেলে , চলুন শুরু করা যাক তাহলে!
সূচীপত্রঃ
পৃথিবীর বয়স কত?
পৃথিবীর বয়স কত, যদি এই প্রশ্নের একদম সরাসরি উত্তর বলা হয়, তাহলে বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর হচ্ছে: প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর। এই বয়স \ বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছেন আধুনিক অনেক গবেষণা, বিশেষ করে মহাজাগতিক রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদানের বিশ্লেষণ ও পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রাপ্ত নানান উল্কাপিণ্ডের বয়স যাচাইয়ের মাধ্যমে।
এই সংখ্যা শুনে আমাদের মধ্যে অনেকেই অবাক হতে পারেন, কারণ ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর একটি বিশাল একটা সময়সীমা, যা আমাদের দৈনন্দিন ধারণার চেয়ে অনেক অনেক বিশাল। বিজ্ঞানীরা মূলত পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো পাথর, চাঁদের নমুনা ও মহাকাশ থেকে পড়া নানান উল্কাপিণ্ড বিশ্লেষণ করে এই বয়স বের করেছেন। তাই এই সংখ্যা কেবল এখন অনুমান নয়, বরং নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক তথ্যে-উপাত্তের ভিত্তিতে নির্ধারিত একটি বয়স।
আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি কিডনি ভালো রাখার উপায়
প্রাচীন ধ্যান-ধারণায় পৃথিবীর বয়স কত?

যদি ভেবে থাকেন পৃথিবীর বয়স কত? এটা নিয়ে আধুনিক মানুষেরাই ভাবা শুরু করেছে তাহলে কিন্তু আপনার ভুল হবে। পৃথিবীর বয়স কত? এই নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল সেই প্রাচীন কাল থেকেই। তবে সেই সময়ে মানুষের হাতে ছিল না আধুনিক বিজ্ঞান বা উন্নত কোনো প্রযুক্তি, তাই তারা পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ করেছিল ধর্মীয় বিশ্বাস, দর্শন ও পৌরাণিক কাহিনির উপর ভিত্তি করে।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস
হিন্দু ধর্মে পৃথিবীর বয়স নিয়ে রীতিমত বিশাল এক কল্পতত্ত্ব রয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, সময়কে বিভক্ত করা হয় “যুগ” নামক চক্রে, যার মধ্যে চারটি যুগ (সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি) একত্রে তৈরি করে একটি মহাযুগ বা “চতুর্যুগ”। একটি চতুর্যুগের মোট সময়কাল প্রায় ৪৩ লক্ষ বছর বলে ধরা হয়। আবার হাজার চতুর্যুগ মিলে হয় এক “ব্রহ্মার দিন”, যার বয়স হয় আবার ৪.৩২ বিলিয়ন বছর, যা আশ্চর্যজনক ভাবে বর্তমান বিজ্ঞানের ধারণার অনেক কাছাকছি কাছাকাছি!
খ্রিস্টধর্মের ব্যাখ্যা
বাইবেল অনুসারে, সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। খ্রিস্টীয় ধর্মগুরু জেমস আশার (James Ussher) ১৭শ শতকে হিসাব করে বলেছিলেন, পৃথিবীর সৃষ্টি হয় ৪০০৪ খ্রিস্টপূর্বে, অর্থাৎ মাত্র প্রায় ৬ হাজার বছর আগে। দীর্ঘদিন ধরে এই হিসাবকেই সত্য বলে ধরা হতো।
গ্রিক ও রোমান দার্শনিকদের ধারণা
প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল পৃথিবীকে অনন্তকাল ধরে অস্তিত্বশীল মনে করতেন। তার মতে, পৃথিবীর কোনো শুরু বা শেষ নেই। এই ভাবনা ছিল দর্শনভিত্তিক, বিজ্ঞানের নয়।
চীনা ও মিশরীয় মতবাদ
চীন ও মিশরের প্রাচীন সভ্যতাতেও পৃথিবীর উৎপত্তি নিয়ে নানান পৌরাণিক কাহিনি ছিল। তবে এগুলোর মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল বা বয়স নির্ধারণের চেষ্টা ততটা চোখে পড়ে নি।
আমরা কিভাবে জানলাম পৃথিবীর বয়স কত?

“পৃথিবীর বয়স কত”, এই প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর জানতে বিজ্ঞানীদের অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে। পৃথিবীর বয়স জানতে রেডিওঅ্যাকটিভ ডেটিং, ইউরেনিয়াম-লেড ডেটিং এর মতো আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছে। চলুন, একে একে জেনে নিই কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর এত নিখুত বয়সের হিসেবটা করেছেন।
রেডিওঅ্যাকটিভ ডেটিং কী জিনিস?
রেডিওঅ্যাকটিভ ডেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান তেজস্ক্রিয় (radioactive) উপাদানের ক্ষয় হার পরিমাপ করে বস্তু বা শিলার বয়স নির্ধারণ করেন। যখন কোনো শিলা উপাদান সৃষ্টি হয়, তখন তার ভেতরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রেডিওঅ্যাকটিভ পদার্থ থাকে। সময়ের সাথে সাথে সেই উপাদান ক্ষয় হয়ে অন্য পদার্থে রূপান্তরিত হয়, যার হার সাধারণত ধ্রুব (নির্দিষ্ট) থাকে। এই ক্ষয়ের হারকে বলে Half-life (অর্ধ-আয়ু)।
ইউরেনিয়াম-লেড ডেটিং
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো এই ইউরেনিয়াম-লেড ডেটিং। এই পদ্ধতিতে ইউরেনিয়াম-২৩৮ এর ক্ষয় হয়ে সীসা-২০৬ (lead-206) এ রূপান্তরের হার পরিমাপ করা হয়। এই উপাদানের অর্ধ-আয়ু প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর, যা আবার পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে একদম উপযুক্ত উপাত্ত।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন শিলার (যেমন: ক্যানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার “zircon” পাথর) মধ্যে ইউরেনিয়াম-লেড বিশ্লেষণ চালিয়ে বের করেছেন যে এই শিলাগুলোর বয়স প্রায় ৪.৩ থেকে ৪.৪ বিলিয়ন বছর। এ থেকেই অনুমান করা যায়, পৃথিবীর জন্মের সূচনার দিকেই এই শিলা গুলো গঠিত হয়েছিলো।
উল্কাপিণ্ড ও চাঁদের পাথরের বিশ্লেষণ
আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে একই সময়ে সৌরজগতের অন্য বস্তুগুলোও তৈরি হয়েছে। তাই বিজ্ঞানীরা চাঁদের পাথর ও মহাকাশ থেকে আসা উল্কাপিণ্ড (meteorites) বিশ্লেষণ করেও পৃথিবীর বয়স অনুমান করেন। ১৯৬৯ সালে Apollo 11 অভিযানে চাঁদ থেকে আনা পাথরের বয়স ছিল ৪.৪ বিলিয়ন বছর, যা পৃথিবীর বয়স সংক্রান্ত গবেষণাকে আরও শক্তিশালী করেছিল।
ভূতাত্ত্বিক স্তর বিশ্লেষণ
পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরের পাথর ও খনিজের বিন্যাস এবং পরিবর্তন বিশ্লেষণ করেও বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর \ বয়সের ধারনা পান। Stratigraphy নামক এই জ্ঞানের শাখা অনুযায়ী, সবচেয়ে নিচের স্তরই সবচেয়ে পুরনো হবে।
আরও পড়ুনঃ রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন
পৃথিবীর বয়স বনাম জীবনের সূচনা

“পৃথিবীর বয়স কত?”, এই প্রশ্নের উত্তর এখন আমরা জানি: প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর। কিন্তু এই বিশাল সময়সীমার মধ্যে জীবনের সূচনা কবে ঘটেছে? মানুষসহ সকল প্রাণীর উৎপত্তি কি পৃথিবী সৃষ্টির পরপরই হয়েছিল? নাকি এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও কয়েকশ কোটি বছর? এসব অজানা প্রশ্নের উতর জানার চেষ্টা করব এখন।
পৃথিবী সৃষ্টির পর কেমন ছিল?
সূচনার প্রথম ৫০ কোটি বছর পৃথিবী ছিল অত্যন্ত অস্থির একইসাথে অনেক ভয়ংকর। একে বলা হয় Hadean Eon, কারণ সে সময় পৃথিবী ছিল লাভা দিয়ে বেষ্টিত, চরম তাপমাত্রা সম্পন্ন, এবং জীবনের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত একটি মৃত গ্রহ। ক্রমাগত উল্কাপিণ্ডের আঘাত ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত পৃথিবীর পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত রেখেছে বহুকাল।
তবে ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। পৃষ্ঠে কঠিন স্তর তৈরি হয়, বায়ুমণ্ডল গঠিত হয়, এবং উল্কাপিণ্ড থেকে আসা বরফ ও বাষ্প থেকে তৈরি হয় প্রথম সমুদ্র। এরপর এই পরিবেশ ধীরে ধীরে জীবনের জন্য উপযুক্ত হতে থাকে।
জীবনের প্রথম চিহ্ন কখন?
বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি ঘটে প্রায় ৩.৫ থেকে ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে। অর্থাৎ, পৃথিবী গঠনের অন্তত ৭০ কোটি বছর পরে প্রথম প্রাণের জন্ম হয়। এই প্রথম জীব ছিল অতি ক্ষুদ্র, এককোষী অণুজীব (Microorganism), যেমন ব্যাকটেরিয়া। তারা সমুদ্রে বাস করত এবং সূর্যালোক বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি অর্জন করত।
আরও পড়ুনঃ আপনার প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত?
এই সময়কে বলা হয় Archean Eon, যা জীবনের একদম শুরুর যুগ। এরপর কোটি কোটি বছর ধরে এই সরল জীবেরাই ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে জটিল প্রাণীতে পরিণত হয়েছে।
প্রাণের বিবর্তন বনাম পৃথিবীর বয়স
- ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে: প্রথম এককোষী প্রাণের উৎপত্তি
- ২.৫ বিলিয়ন বছর আগে: অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রথম জীব (সায়ানোব্যাকটেরিয়া)
- ৬০ কোটি বছর আগে: প্রথম বহুকোষী প্রাণ
- ৫৫ লাখ বছর আগে: মানবজাতির আগমন
এই টাইমলাইনে দেখা যায়, পৃথিবীর বয়সের তুলনায় মানুষ এসেছে একেবারে শেষ সময়ে। এই বিশাল সময়জুড়ে পৃথিবী প্রস্তুত হয়েছে, পরিবর্তিত হয়েছে, এবং উপযুক্ত পরিবেশ গঠন করেছে। ফলে আজকের এই জটিল ও চমকপ্রদ জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতপার্থক্য ও চলমান গবেষণা
যদিও আজকের দিনে অধিকাংশ বিজ্ঞানী একমত যে পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর, তবুও কিছু বিষয় নিয়ে এখনো মতভেদ রয়ে গেছে। কারণ, বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে প্রশ্ন করা, নতুন প্রমাণ খোঁজা এবং আগের ধারনাকে আরও নিখুঁতভাবে যাচাই করা। এই অংশে আমরা দেখার চেষ্টা করব, “পৃথিবীর বয়স কত?” প্রশ্নে ঠিক কোন কোন জায়গায় এখনো মতপার্থক্য দেখা যায়, এবং কোন কোন গবেষণা এখনো চলমান।
পদ্ধতির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক
রেডিওঅ্যাকটিভ ডেটিং পদ্ধতিটি পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে সবচেয়ে প্রচলিত হলেও, এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কিছু বিজ্ঞানী প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন:
- কিছু পাথরে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান বাইরে থেকে দূষিত হতে পারে, যা প্রকৃত বয়স নির্ধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি) অনেক সময় স্তর বিন্যাসে পরিবর্তন আনে, যা বিশ্লেষণে ভুল করিয়ে দিতে পারে।
তবে অধিকাংশ গবেষণায় এই সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করার জন্য বিজ্ঞানীরা পরিশ্রুত পদ্ধতি ব্যবহার করে চলেছেন।
ভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নতুন তথ্য
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা শুধু পৃথিবীর পাথর নয়, বরং চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ এবং উল্কাপিণ্ডের বিশ্লেষণের মাধ্যমেও পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে ধারণা করছেন। নতুন ধরনের উপাদান যেমন isotopic anomalies ব্যবহার করে পৃথিবীর গঠনের সময়কাল আরও সূক্ষ্মভাবে বের করার চেষ্টা এখনো চলমান। বর্তমান বিজ্ঞান মহলে একটি প্রশ্ন উঠে আসছে বারবার, “পৃথিবীর গঠন ঠিক কবে পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছিল?” কারণ পৃথিবীর গঠন প্রক্রিয়া ছিল ধাপে ধাপে চলমান একটি প্রক্রিয়া, তাই এর বয়স নির্ধারণে অনেকে বিজ্ঞানীই গঠন-শেষ হওয়ার সময়কেই শুধু বিবেচনায় নেন।
ভবিষ্যৎ গবেষণার দিকনির্দেশনা
বর্তমান কালের গবেষণাতে আরো অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। যেমনঃ
- অ্যাডভান্সড স্পেকট্রোমেট্রি (Spectrometry)
- ডিপ-আর্থ ড্রিলিং প্রজেক্ট
- মহাকাশযান দ্বারা গ্রহীয় নমুনা সংগ্রহ
এই সব নতুন প্রযুক্তি ও কৌশল ভবিষ্যতে পৃথিবীর বয়স নির্ধারণকে আরও বেশি নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। NASA ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা বর্তমানে মঙ্গল, অ্যাস্টেরয়েড এবং চাঁদ নিয়ে আরও গভীর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই গবেষণাগুলো একদিকে যেমন পৃথিবীর বয়স বোঝার পথ আরো প্রশস্ত করছে, অন্যদিকে সৌরজগতের সামগ্রিক ইতিহাসকেও পরিষ্কার করছে আমাদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
“পৃথিবীর বয়স কত?”, এই প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা পেলেও, বিজ্ঞানীরা এখনো তার গভীরে গিয়ে আরও নিখুঁত তথ্য বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। মতপার্থক্য থাকাটা স্বাভাবিক, কারণ বিজ্ঞান কখনোই থেমে থাকে না। নতুন প্রমাণ, নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিদিনই আমরা পৃথিবীকে আরেকটু ভালোভাবে চিনতে পারছি। আমাদের জানা ব্যাপার গুলো জানতে পারছি নতুন ভাবে, নতুন মোড়কে, আরেকটু বেশি নির্ভর যোগ্য করে!
উপসংহার
জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, পৃথিবীর বয়স কত?, পৃথিবীর বয়স কত তা বুঝার উপায় গুলো কি কি?, প্রাচীন মানুষের ধারণায় পৃথিবীর বয়স কত?, পৃথিবীর বয়স কত এই প্রশ্নের সাথে জীবের উদ্ভবের সম্পর্ক আছে কিনা? থেকে শুরু করে পৃথিবীর বয়স কত? এই প্রশ্ন সম্পর্কিত যাবতীয় প্রায় সকল কিছু। আশা করি পাঠক বেশ ভালো করেই জানতে পেরেছেন আসলে আমাদের পৃথিবীর বয়স কত?
সবশেষে, আশা করি জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভাল লেগেছে। কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে পাঠকের। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ থাকবে এই ব্লগ পোস্টটি প্রিয় জনদের সাথে শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে নিজের মূল্যবান মন্তব্য রেখে যেতে ভুলবেন না কিন্তু! আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোনো এক লেখায়!
