নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? কত প্রকার ও কি কি?

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি বাসা-বাড়িতেও এখন ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক ছাড়া চলার কথা কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন—এই নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে যেভাবে বিভিন্ন ডিভাইস বা কম্পিউটার যুক্ত থাকে, কোন নিয়ম মেনে চলে? কিংবা নেটওয়ার্ক টপোলজি কি আসলে?
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর এই নিয়ম বা কাঠামোটিকেই বলা হয় “নেটওয়ার্ক টপোলজি”। এটি এমন একটি গঠন বা রূপরেখা, যা নির্দেশ করে, নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ডিভাইস (যেমন: কম্পিউটার, প্রিন্টার, সুইচ, রাউটার ইত্যাদি) কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান হবে।
জ্ঞানী বাবা!’র আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব, নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? নেটওয়ার্ক টপোলজি কি ও কত প্রকার ও কি কি? কোন টপোলজির গঠন কেমন, কোন টপোলজি কখন ব্যবহৃত হয় থেকে শুরু করে “নেটওয়ার্ক টপোলজি কি?” এই বিষয়ক বিস্তারিত। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!!!
সূচীপত্রঃ
নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? নেটওয়ার্ক টপোলজি কাকে বলে?
নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? এই প্রশ্নের উত্তর একদম সহজভাবে বললেঃ নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের গঠন কাঠামো বা বিন্যাস, যেখানে বিভিন্ন নোড (যেমন কম্পিউটার, প্রিন্টার, রাউটার ইত্যাদি) কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং তথ্য আদান-প্রদানের পথ কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা ঠিক করে দেয়।
আরো সহজভাবে বললে, আপনি একটি ঘরে যদি ৫টি কম্পিউটার রাখেন এবং সেগুলোকে কেবল দিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করেন, তাহলে সেই সংযোগের ধরন বা বিন্যাসটাই হলো নেটওয়ার্ক টপোলজি।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? কত প্রকার ও কি কি? (2025)
নেটওয়ার্ক টপোলজির মূল উদ্দেশ্য কি?
- নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা বাড়ানো
- ডেটা আদান-প্রদানে সময় ও খরচ কমানো
- সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান সহজ করা
- ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সহায়তা
নেটওয়ার্ক টপোলজির সাধারণ প্রকারভেদ
১. ফিজিক্যাল টপোলজি
ডিভাইসগুলো বাস্তব জীবনে কীভাবে সংযুক্ত থাকে তা বোঝায়। যেমন: তার (cable), সংযোগের বিন্যাস, হাব বা সুইচের অবস্থান ইত্যাদি।
২. লজিক্যাল টপোলজি
ডেটা নেটওয়ার্কের ভিতরে কীভাবে প্রবাহিত হয় বা কোন পথে ডেটা যায়, তা বোঝায়। ফিজিক্যাল এবং লজিক্যাল টপোলজি অনেক সময় এক হলেও কখনো কখনো ভিন্নও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপঃ
একটি অফিসে যদি সব কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় সুইচের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে সেটি স্টার টপোলজি। আবার, যদি একটি কেবল লাইনে সব ডিভাইস যুক্ত থাকে, তবে সেটি বাস টপোলজি।
নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রকারভেদ

“নেটওয়ার্ক টপোলজি কি?” এটা তো জানলাম, এখন প্রশ্ন নেটওয়ার্ক টপোলজি কত প্রকার ও কি কি?, গঠণ ও কাজ করার ধরন ভেদে নেটওয়ার্ক টপোলজি বিভিন্ন রকম হতে পারে, এবং প্রতিটি টপোলজিরই রয়েছে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা। সাধারণত ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক টপোলজিগুলোকে ছয়টি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা যায়। নিচে প্রতিটির নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলোঃ
১. বাস টপোলজি (Bus Topology)
এই টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস একটি একক মূল ক্যাবলের (bus বা backbone) সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি-
- একপ্রকার লিনিয়ার কাঠামো
- ডেটা একদিকে বা উভয় দিকেই যেতে পারে
২. স্টার টপোলজি (Star Topology)
এখানে প্রতিটি ডিভাইস একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস (যেমনঃ সুইচ বা হাব) এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
- কেন্দ্রীয় ডিভাইসই পুরো নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রক
- বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় গঠন
৩. রিং টপোলজি (Ring Topology)
সব ডিভাইস একটি বৃত্তাকার রিং আকারে যুক্ত থাকে।
- ডেটা একটি নির্দিষ্ট দিক অনুসরণ করে ঘুরে ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছায়
- এক ডিভাইসে সমস্যা হলে পুরো রিং ব্যাহত হতে পারে
৪. মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
প্রতিটি ডিভাইস অন্য সব ডিভাইসের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
- ফুল মেশ এবং পারশিয়াল মেশ দুই ধরনের হতে পারে
- সবচেয়ে বেশি রিডানডেন্সি ও রিলায়েবিলিটি প্রদান করে
৫. ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
এটি মূলত স্টার ও বাস টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত একটি হায়ারার্কিক্যাল গঠন।
- সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়
- ম্যানেজ করা সহজ, তবে কিছুটা জটিল
৬. হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)
এটি একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে তৈরি কাস্টমাইজড কাঠামো।
- প্রতিষ্ঠানভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়
- অত্যন্ত ফ্লেক্সিবল ও স্কেলযোগ্য
প্রতিটি টপোলজির বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও বৈশিষ্ট্য
১. বাস টপোলজি (Bus Topology)
এই টপোলজিতে সব ডিভাইস একটি একক কেবল লাইনের (backbone) সাথে যুক্ত থাকে। ডেটা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ওই কেবলের মাধ্যমেই যাতায়াত করে।
সুবিধা:
- কম খরচে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায়
- কেবল ব্যবহার কম
- ছোট নেটওয়ার্কের জন্য উপযোগী
অসুবিধা:
- একটি ডিভাইসে বা কেবলে সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক ব্যাহত হতে পারে
- ডেটা সংঘর্ষ (collision) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- স্কেল করা কঠিন তুলনামূলক ভাবে
২. স্টার টপোলজি (Star Topology)
সব ডিভাইস একটি কেন্দ্রীয় সুইচ/হাবের সাথে আলাদা আলাদা তার দিয়ে যুক্ত থাকে। সমস্ত ডেটা ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়।
সুবিধা:
- সমস্যা শনাক্ত ও সমাধান সহজ
- একটি ডিভাইসে সমস্যা হলেও অন্যগুলো চলতে পারে
- ব্যবস্থাপনা সহজ
অসুবিধা:
- কেন্দ্রীয় ডিভাইসে সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়
- কেবল বেশি লাগে
- হাব/সুইচের খরচ যুক্ত হয়
৩. রিং টপোলজি (Ring Topology)
রিং টপোলজিতেপ্রতিটি ডিভাইস একটি বৃত্ত বা রিং আকারে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। ডেটা এক নির্দিষ্ট দিকে ঘুরে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়।
সুবিধা:
- ডেটা সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম
- পূর্ব নির্ধারিত পথে ডেটা যায়
অসুবিধা:
- এক ডিভাইসে সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যেতে পারে
- troubleshooting জটিল
- সম্প্রসারণ করা কঠিন
৪. মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের প্রত্যেকটি ডিভাইস অন্য সব ডিভাইসের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে (Full Mesh)। আবার কখনো কখনো কেবল কিছু ডিভাইস সংযুক্ত থাকে (Partial Mesh)।
সুবিধা:
- খুবই নির্ভরযোগ্য
- একাধিক বিকল্প পথ থাকায় সমস্যা হলেও ডেটা পৌঁছাতে পারে
- নিরাপত্তা বেশি
অসুবিধা:
- অত্যন্ত ব্যয়বহুল
- স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ বেশ জটিল
- তার ও পোর্ট বেশি লাগে
৫. ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
এই টপোলজি স্টার ও বাস টপোলজির সংমিশ্রণ টপোলজি। একটি মূল ‘রুট’ থেকে বিভিন্ন শাখায় ডিভাইস যুক্ত থাকে।
সুবিধা:
- বড় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারে সুবিধা
- লজিক্যাল গঠন পরিষ্কার
- সমস্যা বিচ্ছিন্ন করা সহজ
অসুবিধা:
- কেবলের জটিলতা
- রুট নোডে সমস্যা হলে পুরো শাখা বন্ধ হতে পারে
- ব্যয় বেশি
৬. হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)
এটি মূলত বিভিন্ন টপোলজির (যেমন: স্টার + মেশ, বাস + রিং) সমন্বয়ে গঠিত হয়। সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠানের জটিল সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
সুবিধা:
- কাস্টমাইজড ও স্কেলযোগ্য
- উচ্চ পারফরম্যান্স
- নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইন করা যায়
অসুবিধা:
- ডিজাইন ও বাস্তবায়ন জটিল
- ব্যয়বহুল
- রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন
কোন নেটওয়ার্ক টপোলজি কিভাবে ও কখন ব্যবহার করবেন?

সব ধরনের নেটওয়ার্ক টপোলজি সব পরিস্থিতিতে কিন্তু আদর্শ টপোলজি নয়। বাস্তব প্রয়োজনে, খরচ, স্কেলযোগ্যতা, নির্ভরযোগ্যতা, রক্ষণাবেক্ষণ—এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে সঠিক টপোলজি নির্বাচন করতে হয়। নিচে বিভিন্ন বাস্তব পরিস্থিতিতে কোন টপোলজি কেন বেছে নেওয়া উচিত, তা ব্যাখ্যা করা হলোঃ
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভয়ঙ্কর ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম
১. ছোট অফিস বা হোম নেটওয়ার্কের জন্য:
উপযুক্ত টপোলজি:
- স্টার টপোলজি
- বাস টপোলজি (সীমিত ব্যবহার)
কারণ:
- স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস দিয়ে সহজে সব কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায়। সমস্যা হলে সহজে সমাধান সম্ভব।
- বাস টপোলজি খরচ কম এবং খুব ছোট নেটওয়ার্কের জন্য উপযোগী, তবে সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২. বড় কর্পোরেট বা এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কের জন্য:
উপযুক্ত টপোলজি:
- মেশ টপোলজি
- হাইব্রিড টপোলজি
- ট্রি টপোলজি
কারণ:
- মেশ টপোলজি সবচেয়ে বেশি রিডানডেন্সি ও নির্ভরযোগ্যতা দেয়, তাই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক বা ডেটা সেন্টারে এটি আদর্শ।
- হাইব্রিড টপোলজি কাস্টম ডিজাইনযোগ্য, ফলে বড় নেটওয়ার্কের জটিলতা সামলাতে পারদর্শী।
- ট্রি টপোলজি ব্যবস্থাপনায় সুবিধাজনক এবং বড় প্রতিষ্ঠানে হায়ারারকিক্যাল নেটওয়ার্ক গঠনে উপযুক্ত।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান:
উপযুক্ত টপোলজি:
- স্টার টপোলজি
- ট্রি টপোলজি
কারণ:
- একাধিক ল্যাব বা ডিপার্টমেন্ট থাকলে ট্রি টপোলজি কার্যকর, কারণ এটি হায়ারারকিক্যাল এবং সহজে স্কেল করা যায়।
- ছোট আকারের নেটওয়ার্ক হলে স্টার টপোলজিই যথেষ্ট।
৪. কম খরচের নেটওয়ার্কের জন্যে:
উপযুক্ত টপোলজি:
- বাস টপোলজি
- স্টার টপোলজি (সাধারণ সুইচ বা হাব ব্যবহার করে)
কারণ:
- বাস টপোলজিতে কেবল কম লাগে, তাই খরচ বাঁচে (তবে সমস্যা হলে রিপেয়ার ব্যয় বেশি)।
- স্টার টপোলজি একটু বেশি খরচ হলেও পরিচালনায় সুবিধা পাওয়া যায়।
৫. নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগের জন্যে:
উপযুক্ত টপোলজি:
- মেশ টপোলজি
কারণ:
- একাধিক বিকল্প পথ থাকায় কোনো সংযোগে সমস্যা হলেও ডেটা অন্য পথে যেতে পারে, ফলে সার্ভিস ব্যাহত হয় না।
- এটি খুবই নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ।
আরও পড়ুনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন?
কোন নেটওয়ার্ক টপোলজি কখন ব্যবহার করবেন?
প্রয়োজন | উপযুক্ত টপোলজি |
---|---|
ছোট নেটওয়ার্ক | স্টার, বাস |
বড়/জটিল নেটওয়ার্ক | মেশ, হাইব্রিড, ট্রি |
কম খরচ | বাস |
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা | মেশ |
সহজ ব্যবস্থাপনা | স্টার |
সংক্ষেপে তুলনামূলক বিশ্লেষণ
নিচের টেবিলে ছয়টি প্রধান নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধা, অসুবিধা, ব্যয় এবং ব্যবহারের উপযোগিতা সংক্ষেপে তুলনা করা হলোঃ
টপোলজির নাম | সুবিধা | অসুবিধা | ব্যয় | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
---|---|---|---|---|
বাস (Bus) | – কম কেবল লাগে – স্থাপন সহজ | – কেবল নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ – ডেটা collision বেশি | কম | ছোট ও সিম্পল নেটওয়ার্ক |
স্টার (Star) | – সমস্যা চিহ্নিত করা সহজ – এক ডিভাইসে সমস্যা হলেও নেটওয়ার্ক সচল | – কেন্দ্রীয় ডিভাইসে সমস্যা হলে সব বন্ধ – বেশি কেবল লাগে | মাঝারি | অফিস, স্কুল, হোম নেটওয়ার্ক |
রিং (Ring) | – ডেটা সংঘর্ষ কম – নির্দিষ্ট পথে ডেটা প্রবাহ | – এক নোডে সমস্যা হলে পুরো রিং বন্ধ – troubleshooting কঠিন | মাঝারি | ল্যাব বা সীমিত ডিভাইসযুক্ত নেটওয়ার্ক |
মেশ (Mesh) | – সর্বোচ্চ রিলায়েবিলিটি – বিকল্প ডেটা পথ থাকে | – অত্যন্ত ব্যয়বহুল – জটিল ব্যবস্থাপনা | বেশি | ডেটা সেন্টার, নিরাপদ নেটওয়ার্ক |
ট্রি (Tree) | – হায়ারারকিক্যাল – সহজে সম্প্রসারণযোগ্য | – রুট নোডে সমস্যা হলে শাখা বন্ধ – কনফিগারেশন জটিল | বেশি | বড় প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় |
হাইব্রিড (Hybrid) | – প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টম ডিজাইন – অত্যন্ত স্কেলযোগ্য | – ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিল – খরচ বেশি | বেশি | বড় কোম্পানি, জটিল নেটওয়ার্ক |
শেষ কথা
জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? নেটওয়ার্ক টপোলজি কিভাবে কাজ করে? নেটওয়ার্ক টপোলজি কি ও কত প্রকার ও কি কি? কোন নেটওয়ার্ক টপোলজি কিভাবে ও কখন ব্যবহার করা উচিত? সহ সর্বসাকুল্যে “নেটওয়ার্ক টপোলজি কি?” বিষয়ক প্রায় সবকিছু। আশা করছি পাঠক নেটওয়ার্ক টপোলজি কি?” এই প্রশ্নের সদুত্তর পেয়েছেন। এও আশা করছি জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে, একটু হলেও কাজে এসেছে। যদি তাই হয়, অনুরোধ করবো, আজকের এই ব্লগ পোস্টটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে একদম ভুলবেন না কিন্তু!!!