বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড

আপনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড জানেন কি? না জানলেও চিন্তা নেই আমরা তো আছি! জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে আপনারা সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেডের কিসের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়? সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেড অনুযায়ী বেতন কত করে? এ সকল প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর জানতে পারবেন। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!!!সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড
সূচীপত্রঃ
সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেড কীভাবে ঠিক হয়?
সহজভাবে বললে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেড নির্ধারিত হয় সরকারের প্রণোদিত বেতন স্কেল অনুযায়ী। সরকার প্রদত্ত এই বেতন স্কেল মূলত পদবী, অভিজ্ঞতা, কাজের ঝুঁকি ও কর্মস্থলের উপর ভিত্তি করে প্রণয়ন করা হয়। সাধারণ সরকারি চাকরি জীবীদের মতো দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত থাকেন।
বেতন নির্ধারণ করার ভিত্তিঃ
- পদবী ও দায়িত্বঃ সেনাবাহিনীতে যার পদ যত উপরে হবে, দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতাও তার তত বেশি থাকবে। তাই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বেতনও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
- অভিজ্ঞতা ও কর্মজীবনকালঃ সেনাবাহিনীতে চাকরির মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতনও বৃদ্ধি পায়। নতুন সদস্যদের তুলনায় অভিজ্ঞ ও পুরনো সদস্যরাই বেশি বেতন পান।
- ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও বিশেষ দায়িত্বঃ বিশেষ মিশন, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, দুর্গম এলাকায় পোস্টিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হয়, যা মোট বেতনের সাথে সংযুক্ত হয়।
- সরকারি বেতন স্কেলঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত জাতীয় বেতন স্কেলের ভিত্তিতেই সেনাবাহিনীর বেতন নির্ধারিত হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছিল।
- বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগঃ মূল বেতনের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা বিভিন্ন ভাতা পেয়ে থাকেন, যেমনঃ
সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেড বা সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেডকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, যথাঃ
- কমিশন্ড অফিসার
- জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (JCO)
- নন-কমিশন্ড অফিসার (NCO) ও সাধারণ সৈনিক
প্রতিটি স্তরের বেতন স্কেল ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ পৃথকভাবে নির্ধারিত হয়। নিচে সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড উপস্থাপন করা হলোঃ
কমিশন্ড অফিসারদের বেতন

কমিশন্ড অফিসাররা সেনাবাহিনীর সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, যারা পুরো সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পর্যায়ে থাকেন। তাদের বেতন স্বাভাবিক ভাবেই তুলনামূলক বেশি হয়। নিচে বিভিন্ন পর্যায়ের কমিশন্ড অফিসারদের বেতন (ভাতা সহ আনুমানিক) দেয়া হলোঃ
- লেফটেন্যান্টঃ ৩২,০০০ টাকা
- ক্যাপ্টেনঃ ৩৭,০০০ টাকা
- মেজরঃ ৪৫,০০০ টাকা
- লেফটেন্যান্ট কর্নেলঃ ৫২,০০০ টাকা
- কর্নেলঃ ৬০,০০০ টাকা
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেলঃ ৭০,০০০ টাকা
- মেজর জেনারেলঃ ৮০,০০০ টাকা
- লেফটেন্যান্ট জেনারেলঃ ৮৮,০০০ টাকা
- জেনারেলঃ ১,০০,০০০ টাকা
জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারদের (JCO) বেতন
JCO রা মূলত অভিজ্ঞ ও দক্ষ সেনা সদস্য যারা নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন হাই কমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী। নিচে জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারদের বেতন (ভাতা সহ আনুমানিক) কাঠামো তুলে ধরা হলোঃ
- ওয়ারেন্ট অফিসারঃ ২৫,০০০ টাকা
- সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারঃ ২৭,০০০ টাকা
- মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসারঃ ২৯,০০০ টাকা
নন-কমিশন্ড অফিসার (NCO) ও সাধারণ সৈনিকদের বেতন
সাধারণ সৈনিকরাই মূলত সেনাবাহিনীর মূল স্তম্ভ। সাধারন সইনিক কিংবা নন কমিশন্ড অফিসাররাই বিভিন্ন ধরণের সামরিক কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। নিচে তাদের বেতন (ভাতা সহ আনুমানিক) কাঠামো দেয়া হলোঃ
- সৈনিকঃ ৯,৫০০ টাকা
- ল্যান্স কর্পোরালঃ ১০,৫০০ টাকা
- কর্পোরালঃ ১১,৫০০ টাকা
- সার্জেন্টঃ ১৭,০০০ টাকা
সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড এর তালিকা
পদবী | মাসিক বেতন (টাকা) |
লেফটেন্যান্ট | ৩২,০০০ |
ক্যাপ্টেন | ৩৭,০০০ |
মেজর | ৪৫,০০০ |
লেফটেন্যান্ট কর্নেল | ৫২,০০০ |
কর্নেল | ৬০,০০০ |
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল | ৭০,০০০ |
মেজর জেনারেল | ৮০,০০০ |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল | ৮৮,০০০ |
জেনারেল | ১,০০,০০০ |
ওয়ারেন্ট অফিসার | ২৫,০০০ |
সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার | ২৭,০০০ |
মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার | ২৯,০০০ |
সৈনিক | ৯,৫০০ |
ল্যান্স কর্পোরাল | ১০,৫০০ |
কর্পোরাল | ১১,৫০০ |
সার্জেন্ট | ১৭,০০০ |
সেনা সদস্যদের বিভিন্ন ভাতা
বেসিক বেতনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্যরা বিভিন্ন ভাতা পেয়ে থাকেন, যেমনঃ
- বাসস্থান ভাতা
- খাদ্য ভাতা
- পোশাক ভাতা
- যাতায়াত ভাতা
- ঝুঁকির জন্যে ভাতা (বিশেষ মিশনে নিয়োজিতদের জন্য)
- মিশন ভাতা (জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের জন্য)
সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড এর ভিত্তি
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেতন গ্রেড সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডের ভিত্তিতে। নিচে সেগুলো একে কে তুলে ধরা হলোঃ
১. পদবী ও দায়িত্ব
প্রতিটি পদবীর জন্য নির্ধারিত একটি আলাদা বেতন স্কেল রয়েছে। যেমন, লেফটেন্যান্টের বেতন একটি নির্দিষ্ট হারে শুরু হয় এবং পদোন্নতির মাধ্যমে তা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায়। একইভাবে, জুনিয়র কমিশন্ড কিংবা নন-কমিশন্ড অফিসারদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
আরও পড়ুনঃ পিরামিড কি? পিরামিডের ভিতরে কি আছে?
২. চাকরির অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতি
যে সেনা সদস্য যত বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তার বেতনও তত বেশি বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ সময় চাকরির মাধ্যমে পদোন্নতি পেলে বেতন স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ বললে, একজন ক্যাপ্টেন থেকে মেজর হওয়ার পর তার বেতন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে।
৩. প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা
যেসব সেনা সদস্য কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন কিংবা কোনো নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করেন, তারা অতিরিক্ত ভাতা পেতে পারেন। যেমন, কমান্ডো বা বিশেষ কোনো বাহিনীর সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি ভাতা যুক্ত করা হয়।
৪. কর্মস্থল ও বিশেষ দায়িত্ব
যেসব সেনা সদস্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বা দুর্গম এলাকায় কাজ করেন, তারা সাধারণত সাধারণ সেনাদের তুলনায় অতিরিক্ত ভাতা পান। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারীরাও বিশেষ ভাতা পেয়ে থাকেন। এই ভাতা সেনা সদস্যদের মাসিক বেতনের বাইরে অতিরিক্ত আয় হিসেবে যুক্ত হয়।
আড়ও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভয়ঙ্কর ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম
৫. সরকারি বেতন গ্রেড ও বার্ষিক বৃদ্ধি
বাংলাদেশ সরকার প্রতি কয়েক বছর পরপর জাতীয় বেতন স্কেল হালনাগাদ (আপডেট) করে থাকে। সেনাবাহিনীর বেতনও সেই কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নিয়মিত (কয়েক ববছর পর পর) বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যের বেতন প্রতি বছর কিছু পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের সুবিধাসমূহ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যরা মূল বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা বা ভাতার পরিমাণও সরকার-নির্ধারিত বেতন স্কেলের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হয়।
১. মূল বেতন ও গ্রেড
সেনাবাহিনীর প্রতিটি পদবীর জন্য নির্দিষ্ট বেতন গ্রেড রয়েছে, যা সরকারি জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন, একজন লেফটেন্যান্ট থেকে শুরু করে জেনারেল পর্যন্ত ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
২. বিভিন্ন ভাতা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড অনুসারে সেনা সদস্যরা নিম্নলিখিত ভাতাসহ নানা ভাতা পেয়ে থাকেনঃ
- বসবাস ভাতাঃ সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থান বা বাসা ভাড়া ভাতা দেওয়া হয়।
- খাদ্য ভাতাঃ সেনা সদস্যদের খাদ্য সংক্রান্ত খরচের জন্য আলাদা ভাতা প্রদান করা হয়।
- ঝুঁকি ভাতাঃ যারা বিশেষ অপারেশন বা যুদ্ধকালীন অবস্থায় কাজ করেন, তারা এই ভাতা পেয়ে থাকেন।
- ইউএন মিশন ভাতা: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বিশেষ বোনাস ও অতিরিক্ত বেতন পেয়ে থাকেন মিশনের ওপর ভিত্তি করে।
- চিকিৎসা সুবিধাঃ সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য সরকার থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
৩. অন্যান্য সুবিধা
- প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার উন্নয়নঃ সেনাবাহিনীতে উন্নত প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ থাকে, যা সময়ের সাথে সাথে তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ায়।
- পেনশন ও অবসর সুবিধাঃ নির্দিষ্ট সময় চাকরির পর অবসরে যাওয়ার সময় সেনা সদস্যরা বেশ মোতা অংকের পেনশন পেয়ে থাকেন।
- সাবসিডাইজড পণ্য ও সেবাঃ সেনা সদস্যরা নির্দিষ্ট ক্যান্টনমেন্ট মার্কেট থেকে সাধারণ বাজারদরের চেয়ে কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী কিনতে পারেন।
- পরিবারের জন্য সুযোগ-সুবিধাঃ সেনা সদস্যদের পরিবারের জন্যও আবাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়।
সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড সংশোধন
আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেতন কাঠামো সরকার নির্ধারিত জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নির্ধারণ করা হয়। পদবী অনুযায়ী এই বেতন গ্রেড সময়ের সাথে সাথে আপডেট করা হয়।
১. জাতীয় বেতন স্কেলের সাথে সংযুক্তি
বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেতন নির্ধারিত হয়। প্রতিবার নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করা হলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেতনও সে অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়। সর্বশেষ বেতন কাঠামো ২০১৫ সালে সংশোধিত হয়েছিল। ভবিষ্যতে এই বেতন কাঠামো সময়ের প্রয়োজনে আবার হালনাগাদ করা হবে।
২. পদোন্নতির মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধি
সেনাবাহিনীর সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতির ওপর ভিত্তি করেও বেতন বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ
- নবনিযুক্ত লেফটেন্যান্ট থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে লেফটেন্যান্ট, ক্যাপ্টেন, মেজর, কর্নেল প্রভৃতি উচ্চপদে ধীরে ধীরে বেতন বাড়তে থাকে।
- অন্যান্য পদে যেমন সৈনিক, ল্যান্স কর্পোরাল, কর্পোরাল, সার্জেন্ট, ওয়ারেন্ট অফিসারদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
৩. বিশেষ ভাতা ও সুবিধা বৃদ্ধি
বেতন কাঠামো আপডেটের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাগুলোকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমনঃ
- ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা
- বিদেশি মিশনে কর্মরত সদস্যদের জন্য বিশেষ ভাতা বাড়ানো
- বসবাস ভাতা ও চিকিৎসা সুবিধার বৃদ্ধি করা
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস কি? ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম
শেষ কথা
আশা করি জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেল থেকে পাঠক সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড জানতে পেরেছেন। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভাল অলেগে থাকে তাহলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন। আর কমেন্ট সেকশোনে নিজের মতামত জানাতে একদম ভুলবেন না কিন্তু!!!