আমাজন জঙ্গলের যে তথ্য গুলো আপনার জানা উচিত!

বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর ও রহস্যময় প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে একটি হলো আমাজন জঙ্গল। এটাকে শুধু একটি বন বললে ভুল হবে, এটি রীতিমত একটি জীবন্ত জগৎ, যেখানে হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদ এমনকি অনেক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীও যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে আসছে।
আমাজন জঙ্গল শুধু তার সীমানার আকারে বা জীববৈচিত্র্যেই বড় না, এটি আমাদের পৃথিবীর জন্য অত্যন্তও গুরুত্বপূর্ণ। এই জঙ্গলকেই বলা হয় পৃথিবীর “ফুসফুস”। এই জঙ্গলের গাছপালা বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি করে একই সাথে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে।
প্রশ্ন আসতে পারে, আমাজন জঙ্গল কোথায় অবস্থিত? বা আমাজন জঙ্গল কোন দেশে অবস্থিত? আর কেনই বা এই জঙ্গল নিয়ে এত রহস্য আর আলোচনা? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের একটু গভীরে ঢুকে দেখতে হবে। বুঝতেই পারছেন, জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে কি থাকছে। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!!!
সূচীপত্রঃ
আমাজন জঙ্গল কোথায় অবস্থিত?

আমাজন জঙ্গল দক্ষিণ আমেরিকার এক বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্ট। এই জঙ্গল মূলত দক্ষিণ আমেরিকার ৯টি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তবে এই জঙ্গলের সবচেয়ে বড় অংশটি রয়েছে ব্রাজিলে।
এক নজরে আমাজন জঙ্গল যে দেশগুলোতে অবস্থিতঃ
- ব্রাজিল (প্রায় ৬০% অংশ)
- পেরু
- কলম্বিয়া
- ভেনেজুয়েলা
- ইকুয়েডর
- বলিভিয়া
- গায়ানা
- সুরিনাম
- ফ্রেঞ্চ গায়ানা (ফ্রান্সের অধীন অঞ্চল)
সোজা সাপ্টা করে বললে, আমাজন জঙ্গল কোথায় অবস্থিত?, এর সঠিক উত্তর হলো: দক্ষিণ আমেরিকার মধ্য ও উত্তরাংশে অবস্থিত এই রেইনফরেস্টটি ব্রাজিল সহ মোট ৯টি দেশের মধ্যে বিভক্ত।
আমাজন জঙ্গল কোন দেশে অবস্থিত?

অনেকেই শুধু ব্রাজিলকে আমাজনের একমাত্র অবস্থান বলে মনে করতে পারেন, কিন্তু সেটি পুরোপুরি সঠিক হবে না। যদিও ব্রাজিল-এ এর সবচেয়ে বেশি অংশ রয়েছে, আমাজন কিন্তু আরও ৮টি দেশের সীমানাতেও বিস্তৃত। প্রতিটি দেশের অংশে রয়েছে আলাদা আলাদা পরিবেশ, প্রাণিবৈচিত্র্য ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী। জেনে অবাক হবেন, এই জঙ্গল এতটাই বিশাল যে এটি একাই পৃথিবীর ৫৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটারের বেশি জায়গা দখল করে আছে, যা কিনা গোটা ইউরোপ মহাদেশের প্রায় সমান!
আমাজন নদী কয়টি দেশে অবস্থিত?
আমাজন নদী, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম ও জলপ্রবাহে সবচেয়ে বড় নদী হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়। আমাজন নদীটি বিশাল এক হাইড্রোলজিক্যাল সিস্টেমের মতো তৈরি করেছে যা পুরো আমাজন জঙ্গলকে জীবিত রাখে। আমাজন জঙ্গলের ন্যায় এই আমাজন নদীও শুধু একটি দেশের মধ্য দিয়ে নয়, বরং সাত- সাতটি দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে!~
আমাজন নদী যে ৭টি দেশে প্রবাহিত হয়ঃ
- পেরু (নদীর উৎস)
- ব্রাজিল (সবচেয়ে দীর্ঘ)
- কলম্বিয়া
- ইকুয়েডর
- ভেনেজুয়েলা
- বলিভিয়া
- গায়ানা (আংশিক)
আমাজন নদী ও জঙ্গলের সম্পর্ক
আমাজন নদী শুধু আকারেই বিশাল নয়, এটিকে আপনি আমাজন জঙ্গলের প্রাণও বলতে পারেন। এর শাখা-প্রশাখা মিলে প্রায় ১,১০০টির বেশি ছোট নদী সৃষ্টি করেছে, যেগুলো আবার জঙ্গলের প্রতিটি কোনায় কোনায় পানি পৌঁছে দেয়। এই বিশাল নদী ব্যবস্থার কারণেই আমাজনে এত বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাস সম্ভব হয়েছে।
বর্ষাকালে, আমাজন নদীর পানি আশপাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে এবং ফলে সেগুলো পানিতে একাকার হয়ে এক বিশাল জলাভূমিতে পরিণত হয়, যেটা “flooded forest” নামে পরিচিত। এতে করে অনেক গাছপালাও পানিতে ডুবে যায়, আর জলজ ও স্থলজ জীবজন্তুর মধ্যে এক অসাধারণ ইকো-ব্যালেন্স গড়ে ওঠে।
আমাজনের বৈশিষ্ট্য
আমাজন জঙ্গল শুধু বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্টই নয়, এটি একটি জীবন্ত ইকো-সিস্টেম, যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগতের দেখা মেলে। এ জঙ্গলটি মোট ৯টি দেশে ছড়িয়ে আছে এবং এই বিশালাকার আয়তনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাজারো অজানা রহস্য! যা আমরা হয়ত কোনোদিনই উন্মোচন করতে পারবোনা।
এক নজরে আমাজনঃ
🔹 আয়তন ও বিস্তৃতি
প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই জঙ্গলটি গোটা ভারত বর্ষের আয়তনের চেয়েও বড়। এর ৬০% অংশ শুধু ব্রাজিলেই অবস্থিত।
🔹 প্রাণবৈচিত্র্য
জঙ্গলটিতে রয়েছেঃ
- ৪০,০০০+ প্রজাতির গাছ
- ১৩০০+ প্রজাতির পাখি
- ৪০০+ প্রজাতির স্তন্যপায়ী
- ৩৭৮+ প্রজাতির সরীসৃপ
- আর ৩০০০+ প্রজাতির মাছ!
এছাড়াও, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হচ্ছে।
🔹 আদিবাসী জনগোষ্ঠী
প্রায় ৪০০টিরও বেশি আদিবাসী গোষ্ঠী এখনও আমাজন জঙ্গলের গভীরে বসবাস করছে, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা আছে। এরা সবাই বহির্বিশ্ব থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়েই এখানে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে।
আরও পড়ুনঃ ব্রিটেনের রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ কী?
আমাজনের গুরুত্ব
🔸 পৃথিবীর ফুসফুস
আপনি জেনে অনেক অবাক হবেন যে, আমাজন রেইন ফরেস্ট একাই পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০% সরবরাহ করে। আমাজন বিশাল পরিমাণ কার্বন শোষণ করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গরম ভাব কমাতেও সাহায্য করে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাজনকে আপনি একটি প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ বলতেই পারেন।
🔸 জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে
এই জঙ্গল দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ও মৌসুমি পরিবর্তনের উপর বিশাল একটা প্রভাব ফেলে। যদি কোন কারণে আমাজন ধ্বংস হয়ে যায়, তবে শুধু ওই অঞ্চলটি কেবল নয়, পুরো পৃথিবীতেই এর প্রভাব ভালো মতো টের পাওয়া যাবে।
🔸 ঔষধি গাছের ভাণ্ডার
বর্তমান বিশ্বের অনেক আধুনিক ওষুধের উৎস হচ্ছে আমাজনের অফুরন্ত গাছপালার ভান্ডার। এখনও অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে যেগুলোর ঔষধি গুণসম্পর্কে বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি জানেনই না।
এক বাক্যে, আমাজন শুধু একটি বনই নয়, এটি মানবজাতি সহ পৃথীবীর প্রাণের অস্তিত্বের সঙ্গেও সরাসরি জড়িত। এই জঙ্গলকে রক্ষা করা মানে পৃথিবীকেই পরোক্ষভাবে রক্ষা করা।
আমাজন রহস্য ও কিছু অজানা তথ্য

আমাজন শুধু তার আয়তনের বিশালতা বা জীববৈচিত্র্যের জন্যই বিখ্যাত নয়। আমাজন এক ভয়ংকর ও রহস্যে ঘেরা জগতও বটে। যেখানে বিজ্ঞানের চোখ এখনও পুরোপুরি পৌঁছায়নি। হাজার হাজার বছরের ইতিহাস, হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতা, এবং এমন সব অদ্ভুদ প্রাণী যারা হয়তো কখনোই ক্যামেরাবন্দিই হয়নি, এসব মিলিয়ে আমাজন রহস্য যেন কখনোই শেষ হওয়ারই নয়।
হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতা
১৯২৫ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিযাত্রী পার্সি ফসেট “Z শহর” নামে এক রহস্যময় প্রাচীন শহরের খোঁজে আমাজনে প্রবেশ করেন। কিন্তু অবাক করা বিষয় তিনি আর কখনোই ফিরে আসেননি। এমনকি আজও অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, আমাজন অনেক হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আমাজনের গভীরে লুকিয়ে আছে।
সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ইমেজ ও ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা জঙ্গলটির নিচে প্রাচীন রাস্তা, নগর এবং পিরামিডের মতো গঠন দেখতে পেয়েছেন, যা আমাজন নিয়ে যে রহস্য তাকে আরো অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
অজানা প্রাণী ও জৈব রহস্য
প্রতিনিয়তই আমাজনে নতুন নতুন প্রজাতির প্রাণী ও নানান জাতের গাছপালা আবিষ্কৃত হচ্ছে।
তবে কিছু বিষয় এখনও বিজ্ঞানীদের হতবাক করে দেয়ঃ
- এমন কিছু গভীর জলের মাছ পাওয়া গেছে, যাদের বৈশিষ্ট্য ভূতাত্ত্বিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না।
- স্থানীয় আদিবাসীরা কিছু অদৃশ্য প্রাণী বা “Shadow Beings”-এর কথা বলেন, যাদের অস্তিত্ব আজও রহস্যের মধ্যেই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ পিরামিড কি? পিরামিডের ভিতরে কি আছে?
আদিবাসীদের জীবন
এই জঙ্গলে এখনও এমন বহু “আনকন্টাক্টেড ট্রাইব” রয়ে গেছে, যারা বাইরের বিশ্বের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগই রাখে না। তারা অজানা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, ভিন্ন ভিন্ন দেবতার আরাধনা করে, এমনকি তাদের জীবনধারা এতটাই রহস্যময় যে, আধুনিক মানব সভ্যতা অর্থাৎ আমাদের কাছে তাদের সম্পর্কে এখনোও বলার মতো কোন তথ্য নেই।
যেখানে মানুষের পা পড়েনি এখনো
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাজন জঙ্গলের প্রায় ২০%-এর বেশি অংশে আজও কোনো মানুষের পা পড়েনি! কিছু কিছু জায়গায়তো অনেক আধুনিক প্রযুক্তিও কাজ করে না। GPS সংকেত হারিয়ে যায়, কম্পাস ঠিকমতো কাজ না করা সহ আরো অনেক অমীমাংসিত রহস্যের হদিস আমরা আজও পাইনি।
সত্যি বলতে, আমাজন রহস্য যেন একটি প্রাকৃতিক থ্রিলার, যেখানে প্রতিটি প্রতিটি পদে পদে লুকিয়ে আছে অজানা ইতিহাস, যেন প্রতিটি গাছের পাতায় পাতায় ভিন্ন, অজানা, অমীমাংসিত রহস্য!
আমাজন জঙ্গলের বর্তমান অবস্থা
আমাজন জঙ্গল, পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, আমাজন আজ ভয়াবহ হুমকির মুখে, অনেকটাই হারিয়ে যাওয়ার পথ! আমরা এতাকে “পৃথিবীর ফুসফুস” নাম দিয়েছি, কিন্তু বাস্তবে আমরাই নিজের হাতে সেটাকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করে ফেলছি।
বন উজাড়ের ভয়াবহতা
গত কয়েক দশকে বন উজাড় (deforestation) রীতিমত ভয়াবহ এক রূপ নিয়েছে। শুধু ২০২৩ সালেই, আমাজন জঙ্গল থেকে প্রায় ৯,০০০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে।
আমাজনের এই অবস্থার প্রধান কারণঃ
- অবৈধ গাছ কাটা
- বাণিজ্যিক কৃষি (Cattle Ranching, সয়াবিন চাষ)
- খনিজ উত্তোলন
- রাস্তা ও নগরায়নের সম্প্রসারণ
এই ধ্বংসের প্রক্রিয়ায় প্রাণ হারাচ্ছে হাজারো প্রাণী। প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে হাজারো বিচিত্র উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল। ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে ক্রমশ। আমরাই এর জন্যে দায়ী কিন্তু এর ফল ভোগ করতে হবে পুরো প্রানী কূলকে!
সংকট ক্রমশই বাড়ছে
ব্রাজিল সরকার নানা সময়ে বন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে রাজনৈতিক ও কর্পোরেট চাপে বন ধ্বংস রোধ করা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। স্যাটেলাইট চিত্রগুলো প্রতিদিনই নতুন নতুন বল্য এলাকা উজাড়ের প্রমাণ দেখাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই ধ্বংস প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে, তাহলে খুব শিগগিরই আমাজন জঙ্গল “টিপিং পয়েন্টে” পৌঁছে যাবে, অর্থাৎ এমন এক অবস্থায়, যেখান থেকে এটি আর কখনোই আগের অবস্থায় ফিরতে পারবে না। তখন এটা ধীরে ধীরে সাভানা বা শুকনো ঘাসের মাঠে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।
পৃথিবীর জন্য এর প্রভাব
- জলবায়ু পরিবর্তন বাড়বে ভয়ানকভাবে
- কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা কমে যাবে
- বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া প্যাটার্ন পাল্টে যাবে
- পৃথিবীর খাদ্য, পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ কিছুটা হুমকির মুখে পড়বে
উপসংহারঃ আমাজন জঙ্গল বাঁচলে, বাঁচবে পৃথিবী
আজ যখন আমরা পৃথিবীকে দিনকে দিন আরো উত্তপ্ত হতে দেখছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে দেখছি, তখন আমাদের আবার চোখ ফেরানো উচিত আমাজন জঙ্গল-এর দিকে। এই জঙ্গল শুধু একটি বনভূমিই নয়, এটি পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষাকারী একাই একটি জটিল ইকো-সিস্টেম।
আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে একদিন হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শুধু বইয়ে বা কোনো কম্পিউটার স্ক্রিনে আমাজন জঙ্গলের ছবি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তারা কখনো অনুভব করতে পারবে না সেই রহস্যঘেরা সবুজ, সেই অক্সিজেনভরা নিঃশ্বাস, সেই বন্য প্রকৃতির ডাক যা একসময় আমাজনকে জীবিত করে রাখত।
আমাদের করণীয় কী?
- পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা ছড়ানো
- বন উজাড় ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে চাপ সৃষ্টি করা (ব্যক্তিগত ও একই সাথে নীতিনির্ধারক পর্যায়েপ)
- পরিবেশবান্ধব জীবনধারা বেছে নেওয়া
- সামাজিক মাধ্যমে সত্যিকারের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া
আমরা প্রত্যেকে যদি একটু করে চেষ্টা করি, তাহলে আমাজন জঙ্গল-কে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আজকের সিদ্ধান্তই ভবিষ্যতের পৃথিবীকে সুন্দর রুপে গড়ে তুলবে।
শেষ কথা
জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের এই লেখায় আমরা জানলাম,আমাজন জঙ্গল কোথায় অবস্থিত? বা আমাজন জঙ্গল কোন দেশে অবস্থিত? আর কেনই বা এই জঙ্গল নিয়ে এত রহস্য আর আলোচনা? আমাজন রহস্য, থেকে শুরু করে আমাজন জঙ্গল সম্পর্কিত বিস্তারিত। আশা করি পাঠক মহা অরণ্য আমাজন সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পেয়েছেন।
পরিশেষে এতটুকুই বলব, আশা করি আমাদের আজকের এই লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। যদি তাই হয়ে থাকে, আজকের এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে , একটু হলেও উপকারে এসে থাকে তবে অনুরোধ করব, সামাজিক মাধ্যমে এই ব্লগটি শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে আপনার মূল্যবান মতামত রেখে যেতে একদম ভুলবেন না কিন্তু!!!
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া