সেরা ১০ টি কিডনি ভালো রাখার উপায়

কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের সকলেরই কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা উচিত। কিডনি আমাদের রক্ত পরিশোধন এবং দেহের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি না পান করা, ধূমপান, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর ফলে আমাদের কিডনির রোগ, কিডনি বিকল হওয়ার মতো নানা জটিল রোগের মোকাবেলা করতে হতে পারে। আমাদের সকলেরই জানা উচিত কিডনি ভালো রাখার উপায়!
জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব দেহে কিডনি কেন প্রয়োজন, কিডনির কাজ, কিডনি ভালো রাখার উপায়, কিডনি ভাল রাখার খাদ্য থেকে শুরু করে কিডনি বিষয়ক বিস্তারিত । তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!!!
সূচীপত্রঃ
দেহের জন্যে কিডনি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আমরা সবাই জানি, কিডনি আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি দেহের রক্ত পরিশোধন (রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো আলাদা করে বাইরে বের করে দেয়) করে এবং বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। ফলে আমাদের দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। আমাদের সকলেরই কিডনি ভালো রাখার উপায় জানা জরুরি। কিডনি দেহের তরল ও খনিজ বস্তুর ভারসাম্য রক্ষা করে। তাছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হরমোন উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে কিডনি!
কিডনির প্রধান কাজ কি?
- রক্তের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত লবণ ও টক্সিন দূর করা
- শরীরের জলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখা
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা
- লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করা
কিডনি সুস্থ না থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে আমাদের দেহে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হাত-পা ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবে সমস্যা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে। কিডনিকে সুস্থ না রাখলে একপর্যায়ে কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে রোগীর ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে আরও কয়েকগুণ। কিডনি বিকল হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময় পর পর ডায়ালাইসিস প্রকির্যায় কৃত্রিম ভাবে রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে হয় যা অনেক ব্যায়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আর ডায়ালাইসিস থেকে মুক্তি পেতে কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো আরও ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তাই সময় থাকতেই আপনার কিডনির যত্ন নিন।
কিডনি ভালো রাখার উপায়

আমাদের শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য কিডনিকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগেই বলা হয়েহে কিডনি দেহের বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন,, জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখা কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অসচেতনতা ও বিভিন্ন রোগের প্রভাবের কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এমনকি কিডনি পুরোপুরি বকলও হয়ে যেতে পারে। তাই, কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিডনি ভালো রাখার উপায় এর মধ্য থেকে সেরা ১০টি উপায় তুলে ধরা হলোঃ
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
কিডনি ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা। কিডনি যখন রক্ত পরিশোধন করে তখন শরীর থেকে সেই বর্জ্য পদার্থগুলো অপসারণ করতে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত সবার। তবে যারা ইতোমধ্যেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য পানি পানের পরিমাণ একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করাই বেশি ভালো।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন?
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
কিডনি সুস্থ রাখতে কেবল পর্যাপ্ত পানি পানই যথেষ্ট নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসও কিডনিকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিডনিকে ভাল রাখতে তাই সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- কিডনি ভালো রাখার খাদ্য:
- শাকসবজি ও তাজা ফলমূল
- চর্বিবিহীন প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগির মাংস ও ডাল
- কম লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার
- পর্যাপ্ত পরিমাণে দই ও দুধজাতীয় খাবার
- কিডনি ভালো রাখার ফল:আপেল
- বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি)
- আঙুর
- তরমুজ
- পেয়ারা
- ইত্যাদি
এই ফলগুলো প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ সমৃদ্ধ, যা আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে দারুনভাবে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করা কিডনিকে ভালো রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। ব্যায়ামের মাধমে উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলোঃ
- কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম:
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা
- যোগব্যায়াম (ইয়োগা)
- হালকা স্ট্রেচিং
- সাইক্লিং
- ইত্যাদি
তবে যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের ব্যায়াম করার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে, যা কিনা আবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ভারী ব্যায়াম করার আগে পানি পান করা জরুরি। আর যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলাই উত্তম।
৪. অতিরিক্ত লবণ ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন
খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা কিনা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ খেলে তা আপনার উচ্চ রক্তচাপেরও কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন ফাস্টফুড, সফট ড্রিংকস, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি খাবারে অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম ও কেমিক্যাল থাকে, যা কিডনির জন্য মারাত্বক ক্ষতি নিয়ে আসতে পারে। তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময় আমাদের শরীর নিজেকে মেরামত করে একই সাথে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করার জন্যে আলাদা করতে থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে পারে এবং তা থেকে দীর্ঘমেয়াদে কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে ফেলতে পারে।
৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
ধূমপান ও অ্যালকোহল কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে ফেলতে পারে, ফলে তা কিডনির রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সুস্থ কিডনির জন্য ধূমপান ও অ্যালকোহল সম্পূর্ণ পরিহার করা উচিত। কিডনি ভালো রাখতে চাইলে ধুমপান ও মদকে না বলুন।
৭. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনির প্রধান শত্রু। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হতে হতে এক পর্যায়ে বিকল হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি ভালো রাখার উপায়:
- নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করা
- চিনি ও কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করা
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা কিনা দীর্ঘমেয়াদে কিডনির নানা রোগের কারণও হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিডোনি ভাল রাখতে তাই স্থুলতাকে এড়িয়ে চলুন।
৯. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
অনেক সময় দেখা যায় যে, কিডনি সমস্যা প্রথম দিকে বোঝা যায় না কিন্তু পরে তা মারাত্বক আকারে ধরা পরে। তাই বছরে অন্তত একবার কিডনি ফাংশন টেস্ট (ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, ইলেকট্রোলাইট) করানো উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার বংশীয় ভাবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কিডনির রোগ থেকে থাকে।
১০. কিডনি ভালো রাখার দোয়া
কিডনি ভাল রাখার দোয়ার কথা বলতে গেলে , বলতে হয় নির্দিষ্ট করে কিডনি ভাল রাখার কোনো দোয়া নেই । তবে অনেক আলেম কিডনি রোগীদের সূরা বাকারার ৭৪ নং আয়াতটি নিয়মিত পড়ার উপদেশ দেন। আয়াতটি নিচে দেয়া হলোঃ
- আরবী উচ্চারণঃ
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً ۚ وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
- বাংলা উচ্চারণঃ
“ছুম্মা ক্বাসাত কুলুবুকুম মিম বাদি জালিকা ফাহিয়া কালহিঝারাতি আও আশাদ্দু ক্বাসওয়াহ; ওয়া ইন্না মিনাল হিঝারাতি লিমা ইয়াতাফাঝ্ঝারু মিনহুল আনহার; ওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াশ্শাক্কাকু ফাইয়াখরুঝু মিনহুল মা’; ওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াহবিতু মিন খাশইয়াতিল্লাহ; ওয়া মাল্লাহু বিগাফিলিন আম্মা তামালুন।” (সুরা বাকারা : আয়াত ৭৪)
- আমল
যদি কোনো ব্যক্তির কিডনিতে কোনো রোগ বা পাথর হয় তবে সে ব্যক্তি সুরা বাকারার ৭৪নং আয়াতটি প্রতিদিন ৪১ বার পাঠ করবে।
উল্লেখ্যঃ কুরআনের আয়াতটির উচ্চারণ ভালোভাবে আরবি জানা কারো কাছ থেকে শিখে নেয়া উচিত। বাংলা উচ্চরণ কখনোই পুরোপুরি সঠিক হয় না।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি আমাদের শরীরের অপ্রয়োজনীয় বিষাক্ত পদার্থ ও অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে। নানা কারণে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে অনেক সময় কিডনি সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কিডনি ভালো আছে কিনা তা বুঝতে কিছু সাধারণ উপসর্গ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১. প্রস্রাবের রঙ ও গন্ধ
কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার একটি সহজ উপায় হলো প্রস্রাবের রঙ ও গন্ধ পর্যবেক্ষণ করা। যদি প্রস্রাব গাঢ় হলুদ, লালচে বা খুব দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে তা আপনাকে কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই সাবধান!
২. শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হওয়া
কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমতে পারে, যার ফলে মুখ, হাত, পা এবং চোখের চারপাশে ফোলা দেখা যায়। তাই এই উপসর্গ দেখা দিলে কিডনির ব্যাপ্রে সাবধান হোন।
৩. ক্লান্ত ও দুর্বল অনুভব করা
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমতে শুরু করে, যা আপনার ক্লান্তি, দুর্বলতা ও মনোযোগের ঘাটতির কারণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
৪. ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব
কিডনির সমস্যা থাকলে খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে, পাশাপাশি বমি বমি ভাব ও পেটের সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনার উপরে বর্ণিত এসব উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করে কিডনির সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন।
শেষ কথা
কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানা ও তা অনুসরণ করা আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি শরীরের টক্সিন ও অতিরিক্ত তরল বের করে দিয়ে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং পর্যাপ্ত পানি না পান করার ফলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।
কিডনি ভালো রাখার খাদ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, এবং পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিডনি ভালো রাখার ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি ও যোগব্যায়াম কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া, লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায় হিসেবে ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, দেহে কিডনি এর কাজ কী এবং কিডনি ভালো রাখার উপায়?, কিডনি ভালো রাখার উপায় কেন জানা দরকার? থেকে শুরু করে সেরা ১০ টি কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে যাবতীয় প্রায় সকল কিছু। আশা করি পাঠক বেশ ভালো করেই জানতে পেরেছেন কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে।
সবশেষে, আশা করি জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভাল লেগেছে। কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে পাঠকের। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ থাকবে এই ব্লগ পোস্টটি প্রিয় জন্দের সাথে শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে নিজের ম্যল্যবান মন্তব্য রেখে যেতে ভুল্বেন না কিন্তু!
তথ্যসূত্র সমূহ