গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই চাহিদাসম্পন্ন একটি কাজ। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিংবা আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব? সঠিক গাইডলাইন না মেনে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা সম্ভব হলেও সবসময় সফল হওয়া এতটাও সহজ হয়না। তাই এই সেক্টরে সফল হতে চাই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা।
জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব, গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার ও কি কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত আয় করা যায় সহ আরো অনেক বিষয়। তাহলে চুলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক!!!
সূচীপত্রঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
একদম সহজ বাংলায় বললে, “গ্রাফিক্স ডিজাইন
হলো এমন একটি ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন বা দৃশ্যমান যোগাযোগের মাধ্যম, যেখানে ছবি, রং, টাইপোগ্রাফি ও বিভিন্ন লেআউট ব্যবহার করে কোনো তথ্য, বার্তা বা আইডিয়া আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়।” আরো সহজভাবে বললে, আমরা বাস্তব জীবনে যে এত এত প্রোডাক্টের লোগো, প্যাকেটের ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, বা ওয়েবসাইটের ব্যানার দেখি—এসবই কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনেরই উদাহরণ!
ডিজাইন মানে আসলে কি?
আমরা অনেকেই মনে করি ডিজাইন মানেই বুঝি ছবি অংকন করা। আদতে ‘ডিজাইন’ মানে শুধু ছবি আঁকা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে বেশ কিছু উপাদান একত্র করে এমন একটি ভিজ্যুয়াল তৈরি করা, যা মানুষ সহজে বুঝতে পারে এবং তা দেখে আকৃষ্ট হয়। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি দক্ষতা, যার মাধ্যমে আমরা দৃষ্টিনন্দনভাবে কোন বার্তা বা অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন করা হয়?
- বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যেমন পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং ও ব্র্যান্ড পরিচিতি গড়তে।
- শিক্ষা ও তথ্য প্রচারে যেমন তথ্যচিত্র, ইনফোগ্রাফিক্স, পোস্টার ইত্যাদি।
- দৃষ্টিনন্দনতা বাড়াতে যেমন ওয়েবসাইট, অ্যাপ ইন্টারফেস।
- মানুষকে প্রভাবিত করতে যেমন বিজ্ঞাপন কিংবা পণ্যের প্রচারণার জন্য।
বাস্তব জীবনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবহার
আমাদের আশেপাশের পরিবেশেই এমন অনেক কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যা গ্রাফিক্স ডিজাইন এরই অন্তর্ভুক্ত।
- দোকানের সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে ফেসবুক পোস্ট ।
- মোবাইল অ্যাপের ডিজাইন, ওয়েবসাইটের লেআউট।
- ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইল বা ইন্ট্রো ভিডিও।
- প্রিন্ট মিডিয়া যেমনঃ পোস্টার, ব্যানার, ম্যাগাজিন ইত্যাদি সব কিছুই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যেই পড়ে।
আরও পড়ুনঃ সেরা ১০ টি কিডনি ভালো রাখার উপায়
গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন
ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন বলতে বোঝায় চোখে দেখে কোনো বার্তা বোঝা। গ্রাফিক্স ডিজাইন এ এমনভাবে বিভিন্ন উপাদান (রঙ, ফন্ট, ছবি) ব্যবহার করা হয়, যাতে তা দেখে কোনো শব্দ না পড়েও আমরা বুঝে যাই কী বলা হচ্ছে। যেমন, লাল রঙের স্টপ সাইন দেখলে আমরা থেমে যাই, এটাই ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনের একটি বাস্তব উদাহরণ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?

গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় বহুমাত্রিক একটি সেক্টর। মূলত, কাজের ধরন ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। নিচে জনপ্রিয় এবং কাজের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদগুলো তুলে ধরা হলো:
১. প্রিন্ট ডিজাইন (Print Design)
বুঝায় যাচ্ছে, প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য তৈরি ডিজাইনকে সাধারণত প্রিন্ট ডিজাইন বলা হয়। এখানে মূলত এমন ডিজাইন তৈরি করা হয়, যা সরাসরি ছাপিয়ে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
- পোস্টার
- ফ্লায়ার
- ব্রোশার
- ম্যাগাজিন কভার
- পেজ লেআউট
- বিজনেস কার্ড
- প্যাকেজিং ডিজাইন
- বিলবোর্ড ইত্যাদি
ব্যবহার
প্রিন্ট ডিজাইন প্রধানত মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। লোকাল বিজনেস থেকে শুরু করে বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সব ব্যবসাতেই এই ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
২. ডিজিটাল ও ওয়েব ডিজাইন (Digital & Web Design)
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেসব ডিজাইন সরাসরি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো ডিজিটাল বা ওয়েব ডিজাইন নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে মূলত অনলাইনভিত্তিক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হয়।
উদাহরণ:
- ওয়েবসাইট ব্যানার
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ইমেল টেম্পলেট
- ফেসবুক কভার পেইজ
- ইউটিউব ব্যনার
- অনলাইন অ্যাড ডিজাইন (Google Ads, Facebook Ads)
- ব্লগ বা নিউজ সাইটের ফিচার ইমেজ
- ইত্যাদি
ব্যবহার:
ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন এবং ওয়েবসাইটে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনের জন্য ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।
৩. ব্র্যান্ডিং ও লোগো ডিজাইন (Branding & Logo Design)
কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বড় পরিসরে তুলে ধরার জন্য ব্র্যান্ডিং ডিজাইন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লোগো একটি প্রতিষ্ঠান, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি তৈরি করে যাতে দেখা মাত্রই মানুষ সেই ব্র্যান্ড বা প্রডাক্টের কথা মনে করে।
উদাহরণ:
- লোগো ডিজাইন
- ব্র্যান্ড গাইডলাইন
- ভিজিটিং কার্ড
- লেটারহেড
- কর্পোরেট স্টেশনারি
- ইত্যাদি
ব্যবহার:
কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পেশাদার পরিচিতি তৈরি করতে ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায় জানেন কি?
৪. ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন (UI/UX Design)
UI (User Interface) এবং UX (User Experience) ডিজাইন মূলত ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের ইন্টারফেস ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে মসৃণ ও আরো উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়।
উদাহরণ:
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- মোবাইল অ্যাপ ইন্টারফেস ডিজাইন
- SaaS সফটওয়্যারের ড্যাশবোর্ড ডিজাইন
- ই-কমার্স ওয়েবসাইট UI ডিজাইন
ব্যবহার:
ব্যবহারকারীর জন্য সহজ, সুন্দর ও ইন্টারঅ্যাক্টিভ ইন্টারফেস তৈরি করা যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে এবং পরবর্তীতেও ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়।
৫. মোশন গ্রাফিক্স (Motion Graphics)

মোশন গ্রাফিক্স হলো মূলত অ্যানিমেটেড বা মুভিং ভিজ্যুয়াল ডিজাইন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ভিডিও কন্টেন্টের জন্য মোশন গ্রাফিক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উদাহরণ:
- এনিমেটেড ভিডিও
- সিনেমার মোশন পোস্টার
- ইন্ট্রো ভিডিও
- টাইটেল এনিমেশন
- সোশ্যাল মিডিয়া বা বিজ্ঞাপনের জন্য শর্ট ভিডিও
ব্যবহার:
ভিডিও মার্কেটিং, ইউটিউব কন্টেন্ট, টিভিসি, মুভি ইন্ডাস্ট্রি ও ডিজিটাল অ্যাড ক্যাম্পেইনে বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও পড়ূনঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় কি? জেনে নিন বিস্তারিত…
৬. থ্রিডি (3D) ডিজাইন ও মডেলিং
থ্রিডি ডিজাইন বলতে এমন এক ধরণের ডিজাইন বোঝায় যা ত্রিমাত্রিক (3D) ফরম্যাটে তৈরি হয় এবং অনেকটা বা পুরোপুরি বাস্তবের মতো দেখতে হয়। 3D মডেলিং মূলত গেম, অ্যানিমেশন, মুভি, আর্কিটেকচার ও প্রোডাক্ট ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
- 3D লোগো ও প্রোডাক্ট মকআপ
- গেম চরিত্র ও পরিবেশ তৈরি
- আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট মডেলিং
- মুভির CGI (computer generated image)
ব্যবহার:
গেম ডেভেলপমেন্ট, সিনেমা, বিজ্ঞাপন ও ই-কমার্স প্রোডাক্ট ভিজুয়ালাইজেশনে বর্তমানে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৭. অন্যান্য ক্ষেত্র
উপরের মূল ক্যাটাগরিগুলোর বাইরেও আরও কিছু স্পেশালাইজড ডিজাইন সেক্টর রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
- ইনফোগ্রাফিক্স ডিজাইন: তথ্য ভিজ্যুয়াল আকারে উপস্থাপন।
- প্রেজেন্টেশন ডিজাইন: PowerPoint বা Google Slides-এর প্রফেশনাল স্লাইড তৈরি।
- ইলাস্ট্রেশন: হাতে আঁকা বা ডিজিটাল আঁকায় বিভিন্ন ছবি বা ক্যারেক্টার তৈরি।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন?

এখন প্রশ্ন আসতে পারে আপনি কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন? জেনে অবাক হবেন বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধু একটি ক্রিয়েটিভ কাজই নয়, বরং এটি একটি ক্যারিয়ার গড়ার সভম্ভাবনাময় সুযোগে পরিণত হয়েছে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনিও গড়তে পারেন একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ার। তাহলে চলুন একে একে দেখে ফেলি কেন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা উচিত।
১. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং ও সৃজনশীলতা বিকাশ
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু সৃজনশীলতা বা Creativity থাকে, কিন্তু সঠিক মাধ্যমে সেটাকে প্রকাশ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মাধ্যমে আপনি আপনার সৃজনশীল চিন্তাগুলো সহজেই ভিজ্যুয়াল ফরম্যাটে তুলে ধরা শিখতে পারবেন। তাছাড়া, যারা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান (যেমন: ইউটিউবার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা উদ্যোক্তা), তাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন রীতিমতএকটি অপরিহার্য স্কিল।
২. ফ্রিল্যান্সিং ও চাকরির বড় সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন স্কিল। Fiverr, Upwork, Freelancer-এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলোতে হাজার হাজার গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত জব পাওয়া যায় হরহামেশাই। তাছাড়া আপনার লোকাল কোম্পানি বা ডিজিটাল এজেন্সিগুলোতে ভালো বেতনের চাকরির সুযোগ তো রয়েছেই। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে এই স্কিলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন তা বারছে।
৩. ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা হতে চান?
ব্যবসা পরিচালনায় ডিজিটাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একজন নতুন উদ্যোক্তা বা ছোট ব্যবসার মালিক হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা থাকাটা অনেক বড় একটি এডভান্টেজ হয়ে পারে। এতে করে আপনি নিজেই নিজের বিজনেসের ব্র্যান্ডিং আর মার্কেটিং মেটেরিয়াল ডিজাইন করে খরচ কমাতে পারেন।
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং এ গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন ছাড়া সেক্টরটি ডিজিটাল মার্কেটিং এক প্রকার অসম্পূর্ণ ও অচল। অনলাইন মার্কেটিংয়ে ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। Facebook, Instagram, YouTube, LinkedIn – সব প্ল্যাটফর্মেই ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং এবং সেলস বৃদ্ধি পায়। তাই ডিজিটাল মার্কেটার হতেও বেসিক ডিজাইনিং স্কিল থাকা দরকার।
আরও পড়ুনঃ সেরা ১৫ টি দ্রুত ওজন কমানোর উপায়…
৫. প্যাসিভ ইনকাম ও নিজের ব্র্যান্ড তৈরি
গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা শুধু ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে আয় করাতেই সীমাবদ্ধ নন। আপনি চাইলে নিজের ডিজাইন তৈরি করে স্টক মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকামও করতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের ডিজাইনিং এজেন্সি বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড খুলে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।
উদাহরণ:
- Creative Market বা Envato Elements এ নিজের ডিজাইন বিক্রি করা।
- Fiverr বা Upwork ছাড়াও নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছানো।
- নিজের ডিজাইনিং এজেন্সি তৈরি করে ছোট টিম গঠন করে ফ্রিল্যান্স কাজ নেয়া।
৬. ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা
আগামী দিনে ডিজিটাল ইকোনমি আরও বড় হবে। ই-কমার্স, SaaS (Software as a Service), গেমিং ইন্ডাস্ট্রি, এবং মেটাভার্সের মতো নতুন ট্রেন্ডের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিলটি অপরিহার্য। এমনকি AI ও অটোমেশন যতোই বাড়ুক, সৃজনশীল ডিজাইনের জন্য মানুষকেই লাগবে। তাই আজ থেকেই লেগে পড়ে যদি আপনি একজন দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে AI ও আপনাকে রিপ্লেস করতে পারবে না।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব?
এতক্ষণ গ্রাফিক্স ডিজাইনের এত সুনাম শুনার পর অনেকেই ভাবতে পারেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব? আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা মানে শুধু কয়েকটা সফটওয়্যার চালানো শেখা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, গ্ধারাফিক্পেস ডিজাইন ধাপে ধাপে দীর্ঘদিন ধরে শেখার চলমান একটি প্রক্রিয়া। নিচে একদম নতুনদের জন্যে যারা হয়ত আজকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক শব্দটার সাথে ভালোভাবে পরিচিত হয়েছেন, তাদের জন্যে ধাপে ধাপে সাজানো একটি রোডম্যাপ দেয়া হয়েছে। চলুন এক ঝলকে দেখে নিই সেই রোডম্যাপ…
আরও পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ধাপ ১: গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিন
প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কী এবং এর ব্যবহার কোথায় কোথায় হতে পারে।
বেসিক কনসেপ্ট বুঝতে হবে:
- কম্পোজিশন (Composition)
- রঙের ব্যবহার (Color Theory)
- টাইপোগ্রাফি (Typography)
- ভিজ্যুয়াল হায়ারার্কি (Visual Hierarchy)
- স্পেসিং এবং অ্যালাইনমেন্ট (Spacing & Alignment)
যা করবেনঃ
- ইউটিউবে ‘Graphic Design Basics’ লিখে সার্চ দিয়ে ভিডিও দেখা শুরু করুন
- Behance বা Dribbble-এ গিয়ে অন্যদের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া
ধাপ ২: সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হোন
ডিজাইনিং শেখার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কিছু সফটওয়্যারের। শুরুতে দুটি মেইন সফটওয়্যার শিখে নেয়াই ভালো। পরে প্রয়োজন ও আগ্রহ অনুযায়ী অন্য সফটওয়্যার শিখে নেয়া যাবে।
প্রাথমিক সফটওয়্যারঃ
- Adobe Photoshop: Raster-based ইমেজ এডিটিং এবং ডিজাইন তৈরির জন্য
- Adobe Illustrator: Vector graphics (লোগো, আইকন, ইলাস্ট্রেশন) তৈরির জন্য
পরবর্তীতে শিখতে হতে পারেঃ
- Figma : UI/UX ডিজাইন বা ওয়েব এবং অ্যাপ ডিজাইনের জন্য
- Canva : যারা খুব দ্রুত ও সহজে বেসিক ডিজাইন করতে চান তাদের জন্য
- Premiere Pro : মোশন গ্রাফিক্স বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য
- After Effects : এনিমেশন বা মোশন ডিজাইন শেখার জন্য (কিছুটা এডভান্স লেভেল)
ধাপ ৩: শেখার মাধ্যম (কোথা থেকে শিখবেন?)
গ্রাফিক্স ডিজাইন সহি যেকোনো স্কিল শেখার ফ্রি ও পেইড দুই ধরনের মাধ্যম রয়েছে:ফ্রিতে শেখার প্ল্যাটফর্ম:
- YouTube: অনেক বড় বড় গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ইউটিউবে ফ্রিতে টিউটোরিয়াল দেন। যেমন:
- GFXMentor (Bangla)
- Design Course
- Envato Tuts+
- PiXimperfect (Photoshop expert)
- ব্লগ ও টেক্সট টিউটোরিয়াল:
- Canva Blog
- Adobe Creative Cloud Tutorials
- Freepik Blog
- ফ্রি রিসোর্স ও কমিউনিটি:
- Behance, Dribbble (অন্যান্য ডিজাইনারদের প্রজেক্ট দেখে অনুপ্রেরণা নিতে পারবেন)
- Reddit (r/graphic_design)
- Freepik, Flaticon (ফ্রি রিসোর্স)
পেইড শেখার প্ল্যাটফর্ম:
- Udemy: কম খরচে অনেক ভালো কোর্স পাওয়া যায়। গ্রাফিক ডিজাইন, Photoshop, Illustrator সব ধরনের কোর্স রয়েছে।
- Skillshare: ক্রিয়েটিভ ও আপডেটেড টপিকের উপর পেইড ক্লাস সহজেই পাওয়া যায়।
- Coursera: ইউনিভার্সিটি লেভেলের ডিপ্লোমা কোর্সও করতে পারবেন এখান থেকে। কিছু ফ্রি কোর্সও পেতে পারেন।
- LinkedIn Learning: প্রফেশনাল লেভেলের ট্রেইনিং ও সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্যে বেশ ভালো একটি প্লাটফর্ম।
আরও পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ধাপ ৪: নিয়মিত প্র্যাকটিস ও প্রজেক্ট তৈরি করুন
কেবল টিউটোরিয়াল দেখে গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া যায় না। শেখা জ্ঞানটাকে দক্ষতায় পরিণত করতে নিয়মিত কাজ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেসিক ডিজাইন শিখে বসে থাকবেন না, নিয়মিত চর্চা করে আপনার দক্ষতাকে আরো ধারালো করুন!
বেসিক শেষ করে যা করবেনঃ
- প্রতিদিন ১টি করে ডিজাইন তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
- ডিজাইন চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করুন: যেমন Daily UI, Logo Challenge ইত্যাদি।
- নিজের আইডিয়া দিয়ে ফেক বা রিয়েল প্রজেক্ট তৈরি করুন। যেমন: জনপ্রিয় কোম্পানির লোগো হুবহু তৈরি করতে পারেন, কিংবা বিখ্যাত ইউটিউবারের থাম্বনেইল লহুভু ডিজাইন করতে পারেন।
ধাপ ৫: ফিডব্যাক নেয়া ও দক্ষতা বাড়ানো
- নিজের ডিজাইনগুলো Facebook Group, Reddit, Behance, বা Dribbble-এ পোস্ট করে ফিডব্যাক চাইবেন।
- সিনিয়র ডিজাইনারদের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নেবেন।
- Redesign practice: পুরোনো বা খারাপ ডিজাইনগুলো নিজে নতুন করে ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন।
ধাপ ৬: রিয়েল ওয়ার্ল্ড প্রজেক্টে কাজ করা
- ছোট ছোট ক্লায়েন্ট বা বন্ধুর বিজনেসের জন্য ফ্রিতে বা খুব কম টাকায় ডিজাইন ডিজাইন করে অভিজ্ঞতা বাড়ান।
- সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের কাজ শেয়ার করে নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
- Fiverr বা Upwork-এ একটি বেসিক প্রোফাইল খুলে ছোট কাজের জন্য বিড শুরু করুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কত টাকা আয় করা যায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি স্কিল, যার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে লোকাল মার্কেট এমনকি এজেন্সি জব থেকেও আয় করা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে। তবে আয় নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, মার্কেটিং এবং প্ল্যাটফর্মের ওপর। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
আয় নির্ভর করবে যে বিষয়গুলোর ওপরঃ
- দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাঃ একজন বিগিনার ও একজন প্রফেশনাল ডিজাইনারের আয়ের মধ্যে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। উদাহরণ দিলে বিগিনাররা ঘণ্টায় ৫-১০ ডলার আয় করতে পারেন অন্যদিকে প্রফেশনালরা ঘণ্টায় ৩০-১০০ ডলারও আয় করে থাকেন।
- কাজের ধরনঃ আপনি কী ধরনের কাজ করছেন তার ওপরও আপনার ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করবে। যেমন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্র্যান্ডিং, UI/UX ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স – প্রত্যেকটিরই মার্কেট রেট আলাদা।
- কোন মার্কেটে কাজ করছেন তাও নির্ভর করে
- লোকাল মার্কেট এর আয় সাধারণত তুলনামূলক অনেক কম হয়।
- আবার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট (ফ্রিল্যান্সিং বা এজেন্সি)থেক আয় হয় অনেক বেশি।
- ক্লায়েন্ট ও নেটওয়ার্কিংঃ দীর্ঘমেয়াদি ক্লায়েন্ট বা বড় কোম্পানির সাথে কাজ করলে আপনার গড় আয় অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুনঃ মহাদেশ কি ? পৃথিবীতে মহাদেশ কয়টি ও কি কি ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কোথা থেকে আয় করা যায়?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয় করার প্রচুর মাধ্যম রয়েছে। অফলাইন বা অনলাইন, উভয় প্ল্যাটফর্মেই এই স্কিল দিয়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে প্রচুর। শুধু আপনাকে জানতে হবে আয়ের উপায়গুলো। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে অনলাইনে আয় করার পথ খুলেছে আরো অনেক বেশি। নিচে ধাপে ধাপে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করছি।
১) ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয়
অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যোমে আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সকল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টরা প্রজেক্ট পোস্ট করেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজের ওপর বিড করে কাজটা করার সুযোগ পান অথবা ক্লায়েন্ত কর্তৃক সরাসরি অর্ডার পান।
- Fiverr
- কাজের ধরন: লোগো ডিজাইন, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্রোশিওর, ফ্লায়ার, ইউটিউব থাম্বনেইল ইত্যাদি।
- এখানে ‘Gig’ তৈরি করে রাখা যায়। তা দেখে ক্লায়েন্ট সরাসরি অর্ডার করতে পারেন।
- Fiverr বিগিনারদের জন্য বেশ ভালো কারণ এখানে বেশ কম রেটেও কাজ শুরু করা যায়।
- প্রতি কাজের জন্য $5 থেকে শুরু করে $500+ পর্যন্ত।
- Upwork
- দীর্ঘমেয়াদী বা বড় প্রজেক্টের জন্য আদর্শ প্লাটফর্ম। UI/UX, ব্র্যান্ডিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি কাজ প্রচুর।
- ঘন্টা ভিত্তিক বা প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়।
- ঘন্টা প্রতি $10 – $100 পর্যন্ত কিংবা একক প্রজেক্টে $500 – $5000+ও হতে পারে।
- Freelancer.com
- ছোট থেকে বড় সব ধরনের ডিজাইন প্রজেক্ট প্রচুর পরিমাণে আছে।
- ক্লায়েন্টের পোস্ট করা প্রজেক্টে বিড করতে হয়।
- বিগিনার ও মিড-লেভেলদের জন্য বেশ ভালো।
- 99Designs
- মূলত লোগো, ব্র্যান্ডিং এবং বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
- ডিজাইন কনটেস্টেও অংশ নিতে পারবেন এই প্লাটফর্মে, আবার সরাসরি ক্লায়েন্ট থেকেও কাজের অফার আসতে পারে।
- প্রতি কনটেস্ট জিতে $100 – $500+ ইনকাম করার সুযোগ আছে।
- PeoplePerHour, Toptal, DesignCrowd
- এগুলো অন্যান্য আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস যেখানে প্রফেশনাল ও এক্সপার্টদেরই বেশি ডিমান্ড। আপনি দক্ষ ডিজাইনার হওয়ার পর এসব মার্কেটপ্লেসেও কাজ পেতে পারবেন।
২) লোকাল মার্কেট থেকে আয়
- লোকাল ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে আয়
- বাংলাদেশে বিভিন্ন বিজনেস, রেস্টুরেন্ট, ই-কমার্স, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, স্টার্টআপ বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের জন্য কাজ করে আয় শুরু করতে পারেন।
- লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ফ্লায়ার, ব্র্যান্ডিং প্যাকেজ এর কাজই বেশি পাওয়া যায়।
- প্রতি কাজ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।
- লোকাল এজেন্সিতে ফুল-টাইম বা পার্ট-টাইম চাকরি
- ডিজাইনিং স্টুডিও, বিজ্ঞাপন এজেন্সি, প্রিন্টিং হাউস, মিডিয়া কোম্পানি ইত্যাদিতে চাকরি করতে পারেন।
- বেতন ৮,০০০ থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে (অভিজ্ঞতা অ দক্ষতা অনুযায়ী)।
- লোকাল ইভেন্ট/প্রজেক্ট বেসড কাজ
- বিভিন্ন ইভেন্ট, এক্সিবিশন বা সিজনাল প্রজেক্টেও গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার আয়তন কত? রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে কত গুণ বড়?
৩) ডিজাইনিং মার্কেটপ্লেস ও প্যাসিভ ইনকাম সোর্স
- GraphicRiver (Envato Market)
- লোগো টেমপ্লেট, বিজনেস কার্ড, ব্রোশিওর, ফ্লায়ার, সোশ্যাল মিডিয়া কিট ইত্যাদি আপলোড করে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
- প্রতি সেল থেকে $১০ – $১০০ বা তার বেশি আয় হতে পারে।
- ফিটেমপ্লেট যত ইউনিক হবে, সেল তত বেশি হবে।
- Creative Market
- প্রিমিয়াম গ্রাফিক টেমপ্লেট, ফন্ট, ব্রাশ, মকআপ বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
- একবার আপলোড করলে মাসের পর মাসও সেল আসতে পারে।
- Freepik Contributor
- ফ্রি ও প্রিমিয়াম টেমপ্লেট তৈরি করে আপলোড করে আয় করতে পারেন।
- প্রতি ডাউনলোডের ভিত্তিতে Freepik আপনাকে পেমেন্ট করবে।
- Envato Elements
- সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ডিজাইন মার্কেটপ্লেস।
- প্যাসিভ ইনকামের দারুণ উৎস হতে পারে।
- Canva Contributor
- Canva-তে নিজের গ্রাফিক্স, আইকন বা টেমপ্লেট আপলোড করে প্রতি ডাউনলোডে আয় করা যায়।
৪) Print On Demand (POD) প্ল্যাটফর্ম
POD হলো এমন এক ধরণের সিস্টেম যেখানে একবার ডিজাইন করে আপলোড করার পর কোনো পণ্য (মানে আপনার ক্ষেত্রে ডিজাইন) বিক্রি হলে প্রফিট পাওয়া যায়। নিচে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম তুলে ধরা হলোঃ
- Redbubble
- টি-শার্ট, মগ, স্টিকার, ওয়াল আর্ট ইত্যাদিতে নিজের ডিজাইন আপলোড করে বিক্রি করে আয় করা যায়।
- Teespring (Now Spring)
- ব্র্যান্ডেড পোশাক বা প্রিন্টেবল পণ্য ডিজাইন করে বিক্রি করা যায়।
- ডিজাইন সেল হলে প্রতি বিক্রিতে কমিশন পাওয়া যায়।
- Merch by Amazon
- Amazon-এ POD মার্কেটপ্লেস। অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম।
- সেল প্রতি ২০%-৩০% পর্যন্ত রয়্যালটি মেলে।
৫) ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড থেকে আয়
- Facebook/Instagram পেজ থেকে আয়
- নিজের ডিজাইনিং ব্র্যান্ড তৈরি করে লোকাল ও গ্লোবাল ক্লায়েন্ট টার্গেট করে আয় করতে পারবেন।
- ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ডিরেক্ট ক্লায়েন্ট পাওয়া সভব।
- Behance ও Dribbble
- Behance ও Dribbble-এ প্রোফেশনাল ডিজাইনার পোর্টফোলিও তৈরি করে সরাসরি ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়।
- অনেক বড় বড় কোম্পানি Behance/Dribbble থেকে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে।
- YouTube
- গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করা সম্ভব (AdSense, Sponsorship)।
আরও পড়ুনঃ আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ জেনে নিন
৬) ট্রেনিং বা কোর্স তৈরি করে আয়
- Udemy, Skillshare, Coursera: নিজে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর কোর্স তৈরি করে আপলোড করে আপনি চাইলে প্যাসিভ ইনকামও করতে পারবেন।
- লোকাল মার্কেটঃ ব্যক্তিগত ভাবে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস করিয়েও আপনি আয় করতে পারবেন।
৭) অন্যান্য ইনকাম সোর্স
- NFT (Non-fungible token) Art Design: ডিজিটাল আর্ট বানিয়ে NFT হিসেবে বিক্রি করা যায়।
- Stock Photo & Vector সাইট যেমন Shutterstock, Adobe Stock-এ ডিজাইন বা ভেক্টর আপলোড করে রয়্যালটির মাধ্যমে আয়ের সুযোগও আছে।
শেষ কথা
জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি থেকে কি আপনি কিছু হলেও শিখতে পেরেছেন? নতুন কোনো তথ্য হোক তা অনেক ক্ষুদ্র জানতে পেরেছেন? আমি আশা করছি আপনার উত্তর হ্যাঁ। জ্ঞানী বাবা!’র আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা জেনেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার ,গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় কত আয় করা যায় ইত্যাদি সকল বিষয়। আজকের আর্টিকেলটি উপকারি মনে হলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে সামাজিক মাধ্যোমে ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করুন। আশা করি প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পরেছেন ও সকল বিষয় বুঝতে পেরেছেন। তবুও যদি কোনো অভিযোগ ,অনুযোগ কিংবা প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।