অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি? এই প্রশ্নটা আজকাল আমরা প্রায়ই শুনি অনেকের মুখে মুখে। কারণ, আধুনিক হেলথ ও বিউটি কেয়ারে অলিভ অয়েল এমন একটি উপাদান যা একইসঙ্গে শরীর, ত্বক আর চুল এই তিন ক্ষেত্রেই কাজ করে। কিন্তু আসলে এই অলিভ অয়েল কী, আর কেনই বা এটি এত জনপ্রিয় হলো?
সোজা বাংলায় অলিভ অয়েল হলো জলপাই ফল থেকে বের করা এক ধরণের প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ তেল। ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলো যেমন গ্রিস, ইতালি, স্পেনকে এই তেলের জন্মভূমি বলা যায়। বহু শতাব্দী ধরে তারা অলিভ অয়েল ব্যবহার করছে। শুধু রান্নাতেই নয়, বরং ত্বক, চুল ও চিকিৎসায়ও এই তেল ব্যবহার করছে তারা বহুকাল আগ থেকেই।
এই তেলে রয়েছে প্রচুর মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (Monounsaturated Fat), বিশেষ করে Oleic Acid, যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এতে রয়েছে Vitamin E, Vitamin K, এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
বর্তমানে অলিভ অয়েলকে “হেলদি ফ্যাট” বা “গুড অয়েল” বলা হয় কারণ এটি শুধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং শরীরে প্রদাহ কমায়, ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে, আর চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। তাই বুঝতেই পারছেন, অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা শুধু এক জায়গাতেই সীমাবদ্ধ না। এর উপকারিতার পরিসর অনেক বিশাল
ইন্ট্রো পড়ে বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই আজ জ্ঞানী বাবা!’র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা। চলুন জেনে নেয়া যাক তুমুল জনপ্রিয় এই অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে শুরু করা যাক!!!
মানব দেহে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?

অনেকেই জানতে চাইতে পারেন, অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি শরীরের জন্যেই কাজে লাগে? উত্তরটা একদম সহ, এটি এমন একটি প্রাকৃতিক তেল যা শরীরের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপরই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে অলিভ অয়েল খেলে হৃদযন্ত্র থেকে শুরু করে হজম, এমনকি রক্তচাপ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই চলুন এই পর্যায়ে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা জেনে নেয়া যাক!
১. হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে
অলিভ অয়েলে থাকা Monounsaturated Fat (Oleic Acid) রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। এতে হার্টের রক্তনালিতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তাই অনেক ডাক্তার এখন খাবারে মাখনের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে বলেন।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক কি কি? জেনে নিন
২. শরীরের প্রদাহ কমায়
অলিভ অয়েলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন Oleocanthal, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহই অনেক সময় ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস বা হার্ট ডিজিজের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত অলিভ অয়েল গ্রহণ করলে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ উভয়ই নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে থাকা পলিফেনল রক্তনালিকে প্রসারিত করে, ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে
অলিভ অয়েল তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের DNA এর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এর ফলে শরীরে ক্যান্সার সেল তৈরির ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে অলিভ অয়েল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫. লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক
অলিভ অয়েল হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করে এবং লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়া বাড়ায়। সকালে খালি পেটে এক চামচ অলিভ অয়েল খেলে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটা কমে যায়।
ত্বক ও চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?

যখন আমরা জানতে চাই “অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?”, তখন শুধু মানব দেহে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা নিয় আলোচনা করলেই হবেনা বরঞ্চ দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্য রক্ষার রক্ষার ক্ষেত্রেও অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা উল্লেখযোগ্য। শত শত বছর ধরেই অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার ও হেয়ার ট্রিটমেন্ট হিসেবে। এতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হেলদি ফ্যাট ত্বক ও চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নিচে ত্বক ও চুলের যত্নে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
অলিভ অয়েলে রয়েছে Vitamin E, Squalene এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শুষ্ক ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। নিয়মিত অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বকের ডার্ক স্পট, দাগ ও রুক্ষভাব অনেকটাই কমে যায়। এটি একধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা রাসায়নিক ক্রিমের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ।
২. অ্যান্টি-এজিং প্রভাব
অলিভ অয়েল তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফাইন লাইন ও রিঙ্কলস কমে যায়, ত্বক থাকে টানটান ও তারুণ্যদীপ্ত।
৩. চুলের গোড়া মজবুত করে
অলিভ অয়েল তেলের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্যবহার হলো চুলে। এতে থাকা Oleic Acid এবং Vitamin K চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, ফলে চুল পড়ে না, বরং ঘন ও মজবুত হয়। নিয়মিত অলিভ অয়েল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
৪. খুশকি ও স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে
অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা স্ক্যাল্পে থাকা ড্রাই ফ্লেক বা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। নারকেল তেল বা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ফলাফল আরও ভালো হয়।
আরও পড়ুনঃ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কেন শুরু হয়েছিলো?
৫. ঠোঁট ও নখের যত্নেও কার্যকর
শুধু ত্বক ও চুল নয়, অলিভ অয়েল ঠোঁট ফাটা, নখ ভাঙা বা শুষ্ক কিউটিকল দূর করতেও অসাধারণ কাজ করে। ঘুমানোর আগে একফোঁটা অলিভ অয়েল ঠোঁটে বা নখে লাগালে সকালে পার্থক্যটা বেশ ভালো করেই চোখে পড়বে।
রান্নায় অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি? এটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু অনেকেই জানি না, কোন ধরনের অলিভ অয়েল কোন কাজে ব্যবহার করা উচিত। কারণ, সব অলিভ অয়েল এক রকম না। এর মান, ঘনত্ব, স্বাদ, আর ব্যবহার পদ্ধতি সবটাই আলাদা। ঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে অলিভ অয়েল থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
১. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
এটাই সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক ধরনের অলিভ অয়েল। এটি জলপাই থেকে প্রেস (উচ্চ চাপ এর মাধ্যমে) পদ্ধতিতে তৈরি হয়, কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই। এতে স্বাদ থাকে একটু ঘন ও অনেকটাই জলপাই ফলের মতো। যেভাবে ব্যবহার করতে পারেনঃ
- সালাদ, পাস্তা, ব্রেডে ডিপ হিসেবে
- রান্না শেষে টপিং বা ফিনিশিং টাচ দিতে
- খালি পেটে এক চা চামচ খেলে হজমে ভালো কাজ করে
২. ভার্জিন অলিভ অয়েল
এটাও প্রাকৃতিক, তবে এক্সট্রা ভার্জিনের তুলনায় সামান্য বেশি এসিডিক। দাম কিছুটা কম এবং রান্নায় ব্যবহার উপযোগী। যেভাবে ব্যবহার করতে পারেনঃ
- হালকা ভাজার কাজে
- ডিম, শাকসবজি বা চিকেন রান্নায়
৩. রিফাইন্ড অলিভ অয়েল
এটি প্রায় পুরোটাই রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়, ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছুটা কমে যায়। তবে এর স্মোক পয়েন্ট বেশি, মানে গরম তাপমাত্রায় এটি সহজে পুড়ে যায় না। যেভাবে ব্যবহার করতে পারেনঃ
- ডিপ ফ্রাই বা বেশি তাপে রান্নার কাজে
- দৈনন্দিন কিচেন ইউজে অন্য তেলের বিকল্প হিসেবে
৪. অলিভ পোমেস অয়েল
এটি সবচেয়ে লো-গ্রেড অলিভ অয়েল, যা জলপাইয়ের বাকি অংশ থেকে রাসায়নিকভাবে নিষ্কাশিত হয়। যদিও পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে কম, তবু দাম সাশ্রয়ী এবং রান্নায় ব্যবহারযোগ্য।যেভাবে ব্যবহার করতে পারেনঃ
- ফ্রাই, বিরিয়ানি বা সাধারণ রান্নায়
তাই শুধু “অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?” জানলেই হবেনা, এর সঠিক ব্যবহারও জানা জরুরি। প্রতিটি ধরনই উপকারী, যদি তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়।
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
“অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা” তো জানলেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, যেকোনো ভালো জিনিসের অতিরিক্ত ব্যবহার যেমন ক্ষতিকর, অলিভ অয়েলও তার ব্যতিক্রম নয়। সঠিক মাত্রা না মেনে খেলে বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে। নিচে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা রেখে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সম্ভাব্য কিছু অপকারিতাও তুলে ধরা হলোঃ
১. অতিরিক্ত ক্যালরির কারণে ওজন বাড়তে পারে
এটা আমরা সবাই জানি, অলিভ অয়েল হলো হেলদি ফ্যাট, কিন্তু ফ্যাট মানেই কিন্তু ক্যালরি! প্রতি টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে প্রায় ১২০ ক্যালরি থাকে। যদি আপনি রান্নায় বা সালাদে পরিমাণের বাইরে ব্যবহার করেন, তাহলে উল্টো ওজন বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? কত প্রকার ও কি কি?
২. ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া
অলিভ অয়েল রক্ত প্রবাহকে মসৃণ রাখে, কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই Blood Thinner বা Anti-Coagulant জাতীয় ওষুধ খান, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত সেবন করা ঠিক নয়।
৩. হজমে সমস্যা বা ডায়রিয়া
অলিভ অয়েলে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাট কিছু মানুষের জন্য অতিরিক্ত হলে হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা, এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে বেশি পরিমাণে খাওয়া একদমই উচিত নয়।
৪. ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে
অলিভ অয়েল যদি সূর্যালোক বা গরম স্থানে রাখা হয়, তাহলে এটি অক্সিডাইজ হয়ে যায়, মানে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং স্বাদে তিক্ততা আসে। এজন্য এটি সবসময় অন্ধকার কাচের বোতলে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত।
৫. অ্যালার্জির সম্ভাবনা
যদিও বিরল, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ত্বকে অ্যালার্জি বা র্যাশও তৈরি করতে পারে। তাই নতুন করে স্কিন বা হেয়ার কেয়ারে ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই, “অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি” জানার পাশাপাশি এর অপকারিতাও জানাও সমান ভাবে জরুরি। এই তেল আমাদের জন্যে প্রকৃতির আশীর্বাদ হলেও, অতিরিক্ত ব্যবহার বা ভুলভাবে প্রয়োগ করলে উল্টো ক্ষতিও ডেকে আনতে পারে। তাই নিয়ম মেনে, সচেতনভাবে, এবং পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলেই অলিভ অয়েল হবে আপনার সত্যিকারের স্বাস্থ্যসঙ্গী।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? কত প্রকার ও কি কি? (2025)
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও ঘরোয়া ব্যবহার

“অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?” এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু শুধু রান্নাঘর বা খাবারের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। অলিভ অয়েল হলো একধরনের মাল্টি-পারপাস তেল, যা শরীরের ভেতর যেমন উপকার করে, তেমনি বাইরে থেকেও ত্বক, চুল ও সৌন্দর্যচর্চায় অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে অলিভ অয়েলের কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া ব্যবহার তুলে ধরা হলোঃ
১. চুলের যত্নে অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, খুশকি কমায় এবং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং চুল পড়া রোধ হয়। সপ্তাহে ২ বার করলে পার্থক্য টের পাবেন আপনি নিজেই।
২. ত্বকের ময়েশ্চারাইজার
অলিভ অয়েলে থাকা Vitamin E ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগায়, ড্রাই স্কিন দূর করে এবং ত্বককে করে কোমল ও উজ্জ্বল। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হালকা করে লাগালে এটি প্রাকৃতিক নাইট ক্রিমের মতো কাজ করে।
৩. ঠোঁট ও নখের যত্নে
শুষ্ক বা ফাটা ঠোঁট সারাতে ১ ফোঁটা অলিভ অয়েল ব্যবহার করাই যথেষ্ট। আবার নখে লাগালে নখের গোড়া নরম হয় এবং নখ ভাঙাও কমে যায়। এটি এমনকি কিউটিকল অয়েল হিসেবেও দারুণ কার্যকর।
৪. মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাজারের কেমিক্যাল রিমুভারের বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে অলিভ অয়েল দারুণ কাজ করে কিন্তু। এটি সহজেই মেকআপ, বিশেষ করে ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা পর্যন্ত তুলে ফেলতে পারে, অথচ ত্বককে একদম শুকিয়েও দেয় না।
৫. বেবি কেয়ারেও নিরাপদ ব্যবহার
অনেক মা তাদের শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন ম্যাসাজের জন্য। এটি ত্বক নরম রাখে সাথে র্যাশও প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুনঃ পিরামিড কি? পিরামিডের ভিতরে কি আছে?
উপসংহার
অলিভ অয়েলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের ভেতর থেকে শুরু করে বাইরে পর্যন্ত বেশ অনেক উপকারি কাজ করে। সার্বিকভাবে বললে, অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ভাল করে জেনে, নিয়ম মেনে, সঠিক সময় ও পরিমাণ বুঝে ব্যবহার করলে অলিভ অয়েল তেলের সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া সম্ভব অনায়াসেই।
জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, অলিভ কী জিনিস?, , লিভের পুষ্টিগুণ, অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা, অলিভ অয়েল এর উপকারিতা, অলিভ অয়েল তেলের এর অপকারিতা, অলিভ অয়েল খাওয়ার সঠিক নিয়ম, অলিভ অয়েল খাওয়ার জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি থেকে শুরু করেঅলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত যাবতীয় প্রায় সকল কিছু। আশা করি প্রিয় পাঠক অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা যথাযথ তথ্যই পেয়েছেন আজকের এই লেখা থেকে!
সবশেষে, আশা করি জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভাল লেগেছে। কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে পাঠকের। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ থাকবে এই ব্লগ পোস্টটি প্রিয় জনদের সাথে শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে নিজের মূল্যবান মন্তব্য রেখে যেতে ভুলবেন না কিন্তু! আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোনো এক লেখায়!