বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী কী?

সময় লাগবেঃ 8 min

একটি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হয় সে দেশের ব্যাংক খাতকে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন, সঞ্চয়, ঋণ প্রদান আর যাবতীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম এই ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমেই চলে। এক কথায়, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তিই হলো ব্যাংক। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি, এই দুই ধরনের ব্যাংকই কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে জনগণের আস্থা এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের কারণে সরকারি ব্যাংকগুলোর গুরুত্ব এখনো সবচেয়ে বেশি। অআমরা অনেকেই জানিনা, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি? কিংবা এগুলো আসলে কী কী কাজ করে?

অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী একটি দেশ গড়ে তুলতে হলে সুস্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থা অপরিহার্য। সেই জায়গায় বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলো আজও দেশের আর্থিক নিরাপত্তার প্রধান ভরসা হয়ে আছে অনেকাংশেই। তাই জ্ঞানী বাবা!’র আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব, ব্যাংক কী?, সরকারি ব্যাংক আসলে কী, সরকারি ব্যাংক কয়টি থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতিতে সরকারি ব্যাংক গুলোর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সূচীপত্র দেখুন

বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি?

এখন আসা যেতে পারে মূল প্রসঙ্গে, বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক কয়টি আছে? ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত (সরকারি) বাণিজ্যিক ব্যাংক সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, আরও ৩টি বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক রয়েছে, যারা নির্দিষ্ট খাতে যেমন কৃষি, শিল্প, বা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অর্থাৎ, যদি সকল সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংককে একসাথে ধরা হয়, তবে বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৯টি সরকারি ব্যাংক সক্রিয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

🔹 সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (৬টি):

  1. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  2. জনতা ব্যাংক লিমিটেড
  3. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
  4. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
  5. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (BDBL)
  6. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড

এই ছয়টি ব্যাংকই দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বিতরণ থেকে শুরু করে বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন পর্যন্ত করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পদবী তালিকা জেনে নিন

🔹 বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক (৩টি):

  1. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  2. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (RAKUB)
  3. বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (BHBFC)

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ৯টি সরকারি ব্যাংক দেশের প্রায় ৬৫% সরকারি আমানত পরিচালনা করে এবং আর্থিক খাতের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই ব্যাংক গুলো।

সরকারি ব্যাংক কয়টি? সম্পূর্ণ তালিকা

বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী কী?

সরকারি ব্যাংক কয়টি? এর উত্তর আগের অংশেই দেয়া হয়েছে। আমরা আগের অংশে জেনেছি যে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৯টি সরকারি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে — যার মধ্যে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৩টি বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক। এখন একে একে এই ব্যাংক গুলো সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক!

🔹 রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক (৬টি)

১. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২
  • মূল কার্যালয়: ঢাকা
  • পরিচিতি: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক। সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা খাত ও সাধারণ মানুষের সঞ্চয় পরিচালনায় সোনালী ব্যাংকই অগ্রগামী ভূমিকা রাখে।
  • সেবা: কৃষি ঋণ, ক্ষুদ্র ঋণ, আমানত, এলসি (LC), অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদি।

২. জনতা ব্যাংক লিমিটেড

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২
  • মূল কার্যালয়: ঢাকা
  • পরিচিতি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানের জন্যে বিখ্যাত।
  • সেবা: এসএমই ঋণ, বিদেশি রেমিট্যান্স, আমানত সঞ্চয় ও ট্রেড ফাইন্যান্সিং।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড

৩. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২
  • মূল কার্যালয়: ঢাকা
  • পরিচিতি: সরকারি-বেসরকারি খাতে ব্যবসায়িক অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • সেবা: কর্পোরেট ঋণ, কৃষি ঋণ, শিক্ষাঋণ, অনলাইন ব্যাংকিং ও রেমিট্যান্স সার্ভিস।

৪. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২
  • মূল কার্যালয়: ঢাকা
  • পরিচিতি: সরকারি ও ব্যক্তিগত ব্যাংকিং সেবা একত্রে দেওয়ার জন্য সুপরিচিত।
  • সেবা: সঞ্চয়, বেতন বিতরণ, সরকারি প্রকল্প ঋণ, অনলাইন সেবা।

৫. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (BDBL)

  • প্রতিষ্ঠা: ২০১০ (বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছে এই ব্যাংক)
  • পরিচিতি: শিল্প ও উৎপাদন খাতে অর্থায়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ ব্যাংক।
  • সেবা: শিল্প ঋণ, এসএমই ফাইন্যান্সিং, প্রকল্প উন্নয়ন ঋণ।

৬. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৮
  • মূল কার্যালয়: ঢাকা
  • পরিচিতি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য জনপ্রিয় সরকারি ব্যাংক।
  • সেবা: এসএমই ঋণ, ট্রেড ফাইন্যান্সিং, আমানত ও বিভিন্ন গ্রাহক সেবা।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ৬টি কি কি?

🔹 বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক (৩টি)

৭. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৩
  • পরিচিতি: কৃষকদের ঋণ প্রদান ও কৃষিখাতে বিনিয়োগে দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ কৃষি ব্যাংক।
  • সেবা: কৃষি ঋণ, কৃষি যন্ত্রপাতি ঋণ, কৃষি উৎপাদন সহায়তা।

৮. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (RAKUB)

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৬
  • পরিচিতি: উত্তরাঞ্চলের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।
  • সেবা: কৃষি ঋণ, গ্রামীণ উদ্যোক্তা সহায়তা, মাইক্রোফাইন্যান্স।

৯. বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (BHBFC)

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৫২
  • পরিচিতি: দেশের আবাসন খাতে গৃহঋণ প্রদানের জন্য গঠিত সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
  • সেবা: প্রধানত গৃহঋণ, নির্মাণ ঋণ, হাউজিং প্রকল্প অর্থায়ন।

আরও পড়ুনঃ সুপার ফুড চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

এক নজরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক…

বিভাগব্যাংক সংখ্যাউদাহরণ
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক৬টিসোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ত=ইত্যাদি
বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক৩টিকৃষি ব্যাংক, RAKUB, BHBFC
মোট সরকারি ব্যাংক কয়টি৯টি

অর্থনীতিতে সরকারি ব্যাংকের ভূমিকা ও গুরুত্ব

বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী কী?

বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গাগুলোর একটি হলো, দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলো। চলুন এক নজরে দেখে নিই, কীভাবে সরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা

সরকারি ব্যাংকগুলো দেশের অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ সচল রাখে। সরকারি প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, বা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্থ বিতরণ সব কিছুই মূলত এই ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে হয়। ফলে অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকে এবং বাজারে অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত থাকে।

২. কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নে অবদান

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। সরকারি ব্যাংক যেমন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও RAKUB, কৃষকদের তুলনামূলক সাশ্রয়ী ঋণ দেয়, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর পুনর্বাসনেও পাশে দাঁড়ায়। এতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

৩. সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন

বৃহৎ অবকাঠামো যেমন সেতু, রাস্তা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা অর্থনৈতিক অঞ্চল, এসব প্রকল্পে সরকারি ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণস্বরূপ, সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক নিয়মিতভাবে সরকারি প্রকল্পে বড় অঙ্কের ফাইন্যান্স করে থাকে।

৪. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি

জনতা ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ কর্মসূচি চালায়। এই উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ তরুণ কর্মসংস্থান পেয়েছে, ছোট ব্যবসা আগের তুলনায় বড় হয়েছে, এবং দেশের অর্থনৈতিক চাকাও আরও দ্রুত ঘুরছে।

৫. রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স একটা বিশাল শক্তি। সরকারি ব্যাংকগুলো যেমন সোনালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক, প্রবাসীদের টাকা দেশে নিরাপদে আনতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়।

আরও পড়ুনঃ ডিম খাওয়ার উপকারিতা । প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের পার্থক্য

বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী কী?

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত মূলত দুই ভাগে বিভক্ত , সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক। বর্তমানে দেশে মোট ৯টি সরকারি ব্যাংক রয়েছে, যা “সরকারি ব্যাংক কয়টি” প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর। কিন্তু শুধু সংখ্যা জানলেই হবে না, এদের কাজের ধরন, মালিকানা, ও উদ্দেশ্যের পার্থক্যও জানতে হবে। এই অংশে আমরা সেই তুলনাটাই একদম ক্লিয়ার করে দেখার চেষ্টা করবঃ

১. মালিকানা ও পরিচালনা

  • সরকারি ব্যাংক: সম্পূর্ণভাবে সরকারের মালিকানাধীন। পরিচালনায় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ভূমিকা রাখে।
  • বেসরকারি ব্যাংক: ব্যক্তিমালিকানাধীন বা শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, শুধু নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

২. মূল উদ্দেশ্য

  • সরকারি ব্যাংক: দেশের উন্নয়ন, জনগণের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা, ও সামাজিক কল্যাণে কাজ করা।
  • বেসরকারি ব্যাংক: মুনাফা অর্জন ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা, এটাই মূলত প্রধান লক্ষ্য।

৩. সেবা কাভারেজ

  • সরকারি ব্যাংক: গ্রামীণ এলাকা, কৃষি, ক্ষুদ্র ঋণ, এবং সরকারি প্রকল্পে অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়।
  • বেসরকারি ব্যাংক: শহরাঞ্চল ও বাণিজ্যিক ক্লায়েন্টদের কেন্দ্র করে কাজ করে, যেখানে লাভের সম্ভাবনা বেশি।

৪. ঋণ প্রদানের নীতি

  • সরকারি ব্যাংক: কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ও নিম্নআয়ের জনগণের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেয়।
  • বেসরকারি ব্যাংক: ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকে এবং লাভজনক প্রজেক্টকেই অগ্রাধিকার দেয়।

৫. সেবার মান ও প্রযুক্তি ব্যবহার

  • সরকারি ব্যাংক: প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশ পিছিয়ে তবে ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এখন।
  • বেসরকারি ব্যাংক: গ্রাহকসেবা, অনলাইন ব্যাংকিং এ অনেক এগিয়ে তুলনামূলকভাবে।

৬. মুনাফা ও ক্ষতির ধরণ

  • সরকারি ব্যাংক: কখনও কখনও লোকসান হয়, কারণ তারা সামাজিক দায়বদ্ধতাকে বেশি প্রাধান্য দিতে হয়।
  • বেসরকারি ব্যাংক: লাভ ছাড়া তাদের ব্যবসা টিকতে পারে না, তাই সাধারণত তারা রিস্ক নিতে চায় না।

আরও পড়ুনঃ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি আপনি জানেন?

সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের তুলনামূলক টেবিল

বিষয়সরকারি ব্যাংকবেসরকারি ব্যাংক
মালিকানাসরকারেরব্যক্তিমালিকানাধীন
সংখ্যা৯টি (সরকারি ব্যাংক কয়টি?’ এর উত্তর)প্রায় ৪০+
উদ্দেশ্যজনকল্যাণ ও উন্নয়নলাভ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ
ঋণ সুবিধাকৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, সরকারি প্রকল্পকর্পোরেট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোন
সেবা এলাকাশহর ও গ্রাম দুই জায়গাতেইপ্রধানত শহর
লাভের উদ্দেশ্যগৌণমূল লক্ষ্যই মুনাফা
প্রযুক্তিতুলনামূলক ধীরঅনেক উন্নত
সরকারি নিয়ন্ত্রণসরাসরিপরোক্ষ

উপসংহার

জ্ঞানী বাবা!’র আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, ব্যাংক কী, ব্যাংক কাকে বলে, ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি?, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি?, বাংলাদেশের মোট সরকারি ব্যাংক কয়টি ও কী কী?, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি ও তাদের উদ্দেশ্য কী? মূলধারার সরকারি ব্যাংক কয়টি? থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি? এ প্রশ্ন সম্পর্কিত যাবতীয় প্রায় সকল কিছু। আশা করি প্রিয় পাঠক বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তরই পেয়েছেন আজকের এই লেখা থেকে!

সবশেষে, আশা করি জ্ঞানী বাবা!‘র আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভাল লেগেছে। কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে পাঠকের। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ থাকবে এই ব্লগ পোস্টটি প্রিয় জনদের সাথে শেয়ার করুন। আর কমেন্ট সেকশনে নিজের মূল্যবান মন্তব্য রেখে যেতে ভুলবেন না কিন্তু! আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোনো এক লেখায়!

এই আর্টিকেলটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন!

Leave a Comment